নিউজ ডেস্ক: ‘নিয়োগ দিন, নাহয় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন', বালিগঞ্জে বিক্ষোভ দেখালেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা। প্রাথমিকে চাকরি না পেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন চাকরি প্রার্থীরা। ডেপুটেশন দিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্য়ালয় সংসদের অফিসেও।
গত জানুয়ারি মাসে সাতদিন ধরে প্রাথমিকে ১৬,৫০০ শূন্যপদ পূরণের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলে। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি সফল ১৫ হাজার ২৮৪ চাকরিপ্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই মেধাতালিকায় জায়গা পাননি কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থী। প্রাথমিকের টেট-২০১৪ এর ভিত্তিতে তৈরি মেধাতালিকায় তাঁদের যুক্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছেন নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা।
বিক্ষোভকারী চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণায় আশার আলো দেখেছিলেন টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা। ইন্টারভিউয়ের পর সময়মতো ফল বেরিয়ে গেলেও কয়েক হাজার প্রার্থী এখনও চাকরি পাননি! এদিকে বয়স বেড়ে আচ্ছে, ফলে চাকরি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। সেকারণেই হয় 'নিয়োগ, না হয় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি' দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘‘টেট পরীক্ষায় আমাদের ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন। এই মুহূর্তে শূন্যপদ রয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার। টেট পাস সাধারণত ইন্টারভিউ নিয়ে শূন্যপদ পূরণ করা হবে। কোভিড একটু কমে গেলে ডিসেম্বর থেকেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সেরে ফেলা হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যাঁরা বাকি থাকবেন, ধাপে ধাপে তাঁদের নিয়োগ করা হবে।”
