Kode Iklan atau kode lainnya

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ভ্রান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতির জন্যই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন! বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি শিক্ষকদের


নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন স্কুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে নবান্ন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় রাজ্য। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে রাজ্যকে যে রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে, তাতেই স্পষ্টভাবে ৩৬২০ স্কুলের বহু সংখ্যক পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছেন। রাজ্যর ৩৬২০টি স্কুলের ক্ষেত্রে কোনও কোনও স্কুলে একজন, আবার কোনও কোনও স্কুলে দু-জন, আবার কোনও কোনও স্কুলে ৬০ জনের বেশিও অকৃতকার্য হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, যে স্কুলগুলিতে অকৃতকার্য পড়ুয়ারা রয়েছে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিভিন্ন জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কোন কোন স্কুল থেকে কতজন করে ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে, তারও রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে অনুযায়ী রাজ্যর ৩৬২০ স্কুলের বহু সংখ্যক পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও কথা বলে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকরা তাদের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থেকে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট নিতে। রিপোর্ট নিয়ে তা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দ্রুত জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন,  ‘উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ভ্রান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতির জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের বহু ছাত্র-ছাত্রী এবার অকৃতকার্য হয়েছে। যার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্র এবং অভিভাবকদের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। শুধু অকৃতকার্য নয়, যারা পাস করেছে তাদের ফলাফলেও অনেক অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের বিষয়টাও গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন এবং কিভাবে পরীক্ষা গ্রহণের মধ্য দিয়ে যথার্থ মূল্যায়ন সম্ভব হয় তার জন্য আগাম বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি শিক্ষা দপ্তর তথা রাজ্য সরকারের কাছে।’


close