Kode Iklan atau kode lainnya

চাকরির স্থায়ীত্ব ও আপদকালীন সাহায্যের দাবি আংশিক সময়ের শিক্ষকদের

 

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে দীর্ঘদিন সঠিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা না হওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি পূরণের জন্য বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিগুলো বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে থাকেন। বিদ্যালয়ের এই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সামান্য বেতন দেওয়া হয় বিদ্যালয় ফান্ড থেকে। মাসিক এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা উনাদের বেতন দেওয়া হয়। অথচ একজন স্থায়ী শিক্ষকের সমান তাদেরকে ক্লাস করতে হয়। এমনকি মিড-ডে-মিল, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সমস্ত কাজেই তাদেরকে পরিচালনা করতে হয়। অথচ তাদের কাজের কোন স্থায়ীত্ব নেই। এই জন্য বারবার তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। 

এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক বিদ্যালয় তাদের সামান্য বেতনটুকু পর্যন্ত দিচ্ছে না। এই করোনাকালে তারা বাধ্য হয়ে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ রেখেছেন। তাই তাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে আজ পুরুলিয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি দীপক কুমার মাহাতোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক মাননীয় রাজীব লোচন সরেন মহাশয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে সংগঠনের দাবি দাওয়া সম্পর্কে জানান ও একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। 

মাননীয় রাজীব বাবু মনোযোগ সহকারে সবিস্তারে সবকিছু শোনেন এবং আগামী দিনে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে তাদের সাক্ষাৎ করানোর আশ্বাস দেন। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘরিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট বারবার আবেদন করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো সুরাহা হয়নি। এমতাবস্থায় করোনাকালে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে পরবর্তী কালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।

close