SSC মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা! তবে কি বিপদ বাড়বে ২৬০০০ শিক্ষকের? যা জানা গেছে

এসএসসি মামলা, সুপ্রিম কোর্ট: ২৬০০০ চাকরি নিয়ে তবে কি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননা করা হচ্ছে? এরফলে আরও বিপদ বাড়বে SSC-র! চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ। সুপ্রিম নির্দেশের পর আপাতত যোগ্য-অযোগ্য সকলের চাকরি বহাল থাকলেও সকলকে মুচলেকা দিয়ে স্কুলে যোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। যদিও সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। আর এর ফলেই বাড়ছে চিন্তা।

নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ (SSC Recruitment Scam) সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছিল  কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ।। চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের। পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালত উচ্চ আদালতের নির্দেশের উপরে ১৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয়। 

দীর্ঘ গরমের ছুটির পর ৩ জুন থেকে সমস্ত সরকারি খুলেছে রাজ্যে। ২০১৬ SSC প্যানেলের সমস্ত শিক্ষকরাও কাজে যোগ দিতে চলেছেন ছুটির পর। কিন্তু, স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা যোগ দিলেও মুচলেকা দিচ্ছেন না। সরকারি স্তরে সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশও নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানায় এতে আদালত অবমাননা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যত দিন বিচার প্রক্রিয়া চলবে তত দিনই চাকরি থাকবে সবার। পরে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হবে, তার চাকরিই যাবে। পাশাপাশি তাকে এত দিন পাওয়া বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে। এই বেতন সংক্রান্ত মুচলেকাও দিতে হবে সকলেকে। তবে কীসের মুচলেকা! সেরম কোনো খবর আপাতত নেই।

কিন্তু কার কাছে জমা দিতে হবে? কে নেবে সেই মুচলেকা? শিক্ষকদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকেও কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। সবমিলিয়ে বিভ্রান্তিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। তাদের আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানলে শেষমেষ আদালত অবমাননার দায় তাদের শাস্তি পেতে হবে না তো?

এই বিষয়ে এক জেলা আধিকারিক বলেন, এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে তাদের কাছে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ আসেনি। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে রায়ের বিষয়টিও তাদের স্পষ্ট ভাবে জানা নেই। একবার নির্দেশ পেলেই তারা আদালতের কথা মতো কাজ করবেন।