Kode Iklan atau kode lainnya

'কেউ একজন হঠাৎ করে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি, আরও তথ্য প্রকাশিত হবে', SSC কাণ্ডে বড় দাবি বিকাশের

এসএসসি নিয়োগ

SSC নিয়োগ দুর্নীতি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড় খবর সামনে এল। SSC-র সার্ভার থেকেই অযোগ্যদের ‘লিস্ট’ হাতে পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)! স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়।টিভি৯ বাংলার খবর অনুযায়ী, দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীদের তালিকা হাতে এসেছে সিবিআই তদন্তকারীদের। 

এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে এসে চাকরির চুরির ইমেলের কপি। অভিযোগ, কাদের কাদের নম্বর বাড়াতে হবে সেই তালিকা নায়সাকে মেল করেছিল এসএসসি। সেই তালিকা হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। জানা যাচ্ছে, অযোগ্যদের তালিকা নায়েসাকে মেল করেছিল এসএসসি। সেই মেলে একাধিক নামের উল্লেখ রয়েছে। OMR এর প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে প্রাপ্ত নম্বর ৫৩ করা হয়েছে, সেটাও রয়েছে ওই তালিকায়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসএসসি সার্ভার থেকে সেই মেল খুঁজে পেয়েছে।

সিবিআই সূত্রে খবর, এসএসসি-র তরফে ইমেল গিয়েছিল নায়সার কর্তা নিলাদ্রি দাস, নায়সার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়সার এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনের কাছে। এদের কাছে একাধিকবার মেল করা হয় অযোগ্যদের তালিকা। এসএসসি-র সার্ভারে এমন আরও ইমেল থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না সিবিআই। এই অযোগ্যদের তালিকার উপর ভিত্তি করেই সিবিআই তাদের তলব করতে চলেছে।

এই বিষয়ে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য ছিল সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত দুর্নীতি। সরকার পরিকল্পনা করে এটা করেছে। কেউ একজন হঠাৎ করে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। তদন্ত যত এগোবে আরও তথ্য প্রকাশিত হবে। তাই তদন্ত আটকাতে সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত আটকায়নি। আরও অনেক তথ্য বেরবে। আর যাদের নাম উঠে আসছে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে দেখবেন আরও অনেক মন্ত্রীদের নাম বেরিয়ে আসেছে।”

এসএসসি নাইসা ছাড়াও এই তিন জনের কাছে অযোগ্যদের তালিকা পাঠিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহল বলেছে, এই তালিকা থেকেই বোঝা যেতে পারে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন কারা। ফলত, সেই তালিকা সামনে এলে যোগ্যদের ভাগ্য ফিরতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলটিই বাতিল করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাতে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। যদিও পরবর্তীতে চাকরি বাতিলের নির্দেশে আপাত স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদলত সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। পাশাপশি, এসএসসিকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদলত। 

close