Kode Iklan atau kode lainnya

SSC মামলার রায় হল, প্রাথমিকের টেট মামলা ঝুলে রয়েছে আদালতে, জড়িয়ে আছে মোট ৬০ হাজারের ভবিষ্যৎ

প্রাথমিকের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ

প্রাথমিক টেট মামলা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় হল। তাতে চাকরি বাতিল হল ২৫ হাজার জনের। এসএসসি মামলার রায় হলেও প্রাথমিকের টেট মামলা এখনও ঝুলে দুই আদালতে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আরও কয়েক হাজারের ভবিষ্যৎ।  এসএসসির মতো টেটের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাই কোর্টে সেই সব মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলাগুলোর তাকিয়ে আছেন বহু চাকরিপ্রার্থী।

প্রাথমিকের টেট দুর্নীতির বিষয়ে প্রথম বার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রমেশ মালিক এবং সৌমেন নন্দী। এই মামলাটিতেই তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে প্রথম বার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মামলাতেই বহিষ্কৃত হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বর্তমানে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে জেল খাটছেন। এই মামলায় প্রথমে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাটি এখনও ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ বর্তমানে এই মামলা শুনছেন।

এরপর প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরও একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, নিয়োগের যথাযথ পদ্ধতি মানা হয়নি। বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে অনেককেই। অভিযোগ ছিল, নিয়োগের আগে ইন্টারভিউ নেওয়া কিংবা অ্যাপটিটিউড টেস্ট সঠিক ভাবে নেওয়া হয়নি। ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমানে মামলাটি বর্তমানে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।

২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট দিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে চাকরি পেয়েছিলেন ৬০ হাজার। সেই টেটে কারচুপির অভিযোগে পৃথক মামলা করেছিলেন রাহুল চক্রবর্তী-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালের টেটের পরে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। টেটের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের আসল নথি বা হার্ডকপি নষ্ট করা হয়েছে। বদলে ডিজিটাইজ়ড ডাটা হিসাবে ওই সব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেই তথ্য খুঁজে বার করার কথা সিবিআইয়ের।

বর্তমানে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। কিছু দিন আগে এই মামলাতেই বিচারপতি মান্থা জানিয়েছিলেন, ওএআমআর শিটের আসল তথ্য না খুঁজে পেলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাটিকেই তিনি বাতিল বলে ঘোষণা করবেন। এ ছাড়াও টেটে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত আরও কিছু মামলা রয়েছে। সেগুলি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

close