টেট প্রশ্ন ভুল: প্রাথমিক টেটের ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বড় খবর সামনে এল। প্রশ্নপত্রে এত ভুল নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিল।
মঙ্গলবার মামলাটির শুনানিতে বিচারপতি বলেন, "পিএইচডি করে কেউ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না। তাই সঠিক প্রশ্নের ধরন থাকা প্রয়োজন। সবাই আলবার্ড আইনস্টাইন নয়, পর্ষদের উচিত মেরিট বুঝে প্রশ্ন করা।"
২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ৫০০ জন পরীক্ষার্থী। গোটা বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জবাব তলব করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
১৫০ টা প্রশ্নের মধ্যে ২৩ টা প্রশ্ন ভুল, সেই প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর বিচারকদের জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। একইসঙ্গে আবেদকারীদের কাছে থাকা ভুল প্রশ্নের তালিকা পর্ষদকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত মনে করে, প্রশ্ন ও উত্তর ক্ষেত্রে কোনও স্টেট ‘জ্যাকেট ফর্মুলা’ হতে পারে না। এটা একেক রাজ্য বা দেশ ভেদে অর্থ বদল হয়। তাই কোর্ট নিজেও কৌতুহলী এই নিয়ে এক্সপার্টদের মতামত জানতে। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এই ২৩ বিতর্কিত প্রশ্নের বাইরে নতুন করে আর কোনও প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ তোলা যাবে না।
২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্রে কতগুলি ভুল ছিল তানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এদিন জানতে চান, এইসব বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চেক করানো হয়েছে কিনা। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চেক করিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হল পর্ষদকে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।