এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ: এসএলএসটি নিয়োগের জট খোলা নিয়ে আজ সোমবার ‘বড়’ পদক্ষেপের সম্ভাবনা আছে বলে আগেই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমুল নেতা কুণাল ঘোষ। ২০১৬ সালের এসএলএসটি (শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা) চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত হয়ে গেলেও নতুন মামলায় তা আটকে রয়েছে। নিয়োগের বিষয়ে রাজ্য সরকার শূন্যপদও তৈরি করেছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। আজ এই মামলার গুরুত্বপূর্ন শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।
গত বুধবার এসএলএসটি নিয়োগ জটিলতা নিয়ে মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। রাজ্যের তরফে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এই নিয়োগ জট কাটাতেই কিশোরের সঙ্গে কথা বলতে গত সোমবার হাই কোর্টে গিয়েছিলেন কুণাল। দীর্ঘ ক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছিল।
বুধবারের শুনানির পর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুণাল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘মনে রাখুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগের সব ব্যবস্থা করে দিলেও বিরোধীদের অন্যায্য মামলার জটে আটকে ছিলেন যোগ্যরা। আশা করি খুব শিগগিরই সবার মুখে হাসি ফুটবে। জট কাটার দিকে এগোচ্ছে। অ্যাডভোকেট জেনারেল যথাযথ সওয়াল করার কারণেই বিচারপতি এত কম সময়ের মধ্যে ফের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। হলফনামা দেওয়ার বিষয় রয়েছে। আশা করি সোমবার ইতিবাচক কিছু একটা হবে।’’
এর আগে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কুণাল বলেছিলেন, ‘‘সুপারিশপত্র পেয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এমন এক জনের নামে মামলা করা হয়েছে, যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করছেন। আমি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে গেলে তাঁরা ডেপুটেশন (স্মারকলিপি) দেন। তা আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে হোয়াটস্অ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না-উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’’
কার নির্দেশে সুপার নিউমেরিক পোস্ট? রাজ্য ও এসএসসির কাছে গত শুনানিতে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপার নিউমেরিক পোস্ট নিয়ে রাজ্যের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আজ সোমবারের মধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্য এবং এসএসসি কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আজ আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকবেন চাকরি প্রার্থীরা।