নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বড় প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 'যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তবে অনেক যোগ্য প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন', তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, জনগণের টাকা কেন এভাবে নষ্ট হবে? প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন মামলার শুনানিতে SSC র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মূল মামলাকারীরা দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন, পাননি বলে মামলা করেছেন। সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এসএসসি-কে প্রশ্ন করেন, একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?
কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কেন এবং কী ভিত্তিতে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে এসএসসি? প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এসএসসি কোন মিটিংয়ের মাধ্যমে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বিস্তারিত তথ্য তলব বিচারপতির।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্নীতি মামলায় আগে হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। যদিও একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কমিশন জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে তারা একাজ করতে বাধ্য হয়েছে।
বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা কেন এভাবে নষ্ট হবে ? সে প্রশ্নও করেন বিচারপতি।