School Service Commission
নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আপার প্রাইমারিতে প্রাথমিক শিক্ষকপদে কর্মরতরাও চাকরি পেতে চলেছেন। তবে প্রাথমিকের চাকরি ছেড়ে উচ্চ প্রাথমিকে যোগ দিতে নারাজ প্রার্থীরা।
উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিতে যোগদান নিয়ে ধন্দে পড়েছেন চাকরিরত প্রাথমিক শিক্ষকরা। তাঁদের সকলেই বলছেন, উচ্চপ্রাথমিকে চাকরি করতে গেলে আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের। তাই তাঁদের অধিকাংশই কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত থাকলেও উচ্চপ্রাথমিকের বিদ্যালয়গুলোতে যোগদান করবেন কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
প্রাথমিক শিক্ষকরা ইতিমধ্যে হিসাব সেরে ফেলেছেন যে, প্রাথমিক বিদ্যালয় উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিলে কত টাকা লোকসান হবে। চাকরিপ্রার্থীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, যারা ২০১৭ তে প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের চাকরির প্রায় সাতবছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। আবার যারা ২০১১ তে প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের চাকরির প্রায় তেরো বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে।
হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ এর জুলাইতে ২০১৭ এর প্রাথমিকে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের বেসিক পে উচ্চপ্রাথমিকের বেসিক পের চেয়ে একশো টাকা বেশি হবে। পরবর্তীতে এই বেসিক পের সর্বোচ্চ পার্থক্য হবে ৪৮০০ টাকা। এই বেসিক পের সঙ্গে অন্যান্য ভাতা যোগ করলে প্রাথমিকের বেতন উচ্চপ্রাথমিকের থেকে বেশি হবে।
এই নিয়ে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “হিসেব কষে দেখছি যে আর্থিক দিক দিয়ে বর্তমানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরিতেই বেশি লাভবান হচ্ছি। তাই বুঝতে পারছি না, উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিতে যোগদান ঠিক হবে কি না। এই নিয়ে ধন্দে আছি।'
শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, পরবর্তীতে পে কমিশন যুক্ত হলে প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকের বেতনের পার্থক্য অনেক বেশি হবে ও আর্থিক দিক দিয়ে বেশি লাভবান হবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।