Kode Iklan atau kode lainnya

৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলা শুনবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই, প্রাথমিকের বাকি মামলাও হাতে রইল

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রোস্টার সম্পর্কিত বড় খবর সামনে এল। ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা শুনবেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই। হাতে রইল প্রাথমিকের বাকি সব মামলাগুলোও। কলকাতা হাই কোর্টের নতুন ‘রস্টার’ অনুযায়ী তাঁর এজলাসে থাকা কোনও মামলার রদবদল হয়নি।  গ্রীষ্মাবকাশের পরে আদালত খুললে নতুন রোস্টার অনুযায়ী বিচার করবেন বিচারপতিরা।

জল্পনা ছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে হয়তো প্রাথমিকের মামলাওসরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ‘মাস্টার অফ রস্টার’ হিসাবে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি তা করেননি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কলকাতা বহাই কোর্টের যে নতুন রোস্টার প্রকাশ করেছেন, তাতে উল্লেখ রয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলাই বিচারের ভার থাকছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে। ৩২ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলাও শুনবেন তিনি। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতির মূল দু’টি মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। 

এই মুহূর্তে কলকাতা হাই কোর্টে ৫৩ জন বিচারপতি রয়েছেন।  প্রাথমিক শিক্ষার  সাথে জড়িত সমস্ত মামলার  বিচারের দায়ীত্বেই বহাল রইলেন মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী। ২০২০ পর্যন্ত এসএসসি কমিশন এবং মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত সমস্ত মামলার বিচারের দায়িত্বে রইলেন মাননীয় বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। ২০২১ এবং তার পরবর্তী সময়ের এসএসসি কমিশন এবং মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত সমস্ত মামলার বিচারের দায়িত্বে রইলেন মাননীয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 

পঞ্চায়েত ও পৌরসভা সংক্রান্ত সমস্ত মামলার বিচার করবেন মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ডিভিশন বেঞ্চে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার দায়ীত্বে রইলেন মাননীয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং মাননীয় বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য।

আগামী পাঁচ তারিখ থেকে নতুন লিস্ট কার্যকর হবে। সুতরাং রোস্টার অনুযায়ী, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাইমারি সংক্রান্ত মামলাই শুনবেন এবং বিচারপতি মান্থার কাছে পুলিস, ইডি এবং সিবিআই সংক্রান্ত সব মামলা থাকছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা শুনবেন। পুলিসি মামলা শুনবেন রাজা শেখর মান্থা। ইডি-সিবিআই সংক্রান্ত মামলাও থাকল বিচারপতি মান্থার হাতেই। শুধুমাত্র জামিনের ক্ষেত্রে বদল করা হয়েছে। বাকি সবকিছুই প্রায় একই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।     

close