Kode Iklan atau kode lainnya

ভুল মানিক ভট্টাচার্যের আমলে, তালিকা সংশোধনের নির্দেশ! মুখ খুললেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

গৌতম পাল

নিউজ ডেস্ককলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত "কাট অফ মার্কস" প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জেলাভিত্তিক, মিডিয়াম, কাস্ট এবং ক্যাটেগরি ভিত্তিক বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে পর্ষদ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই এটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। হাইকোর্টের নির্দেশে ব্রেক-আপ সহ ২০১৪-র প্রাথমিকের তালিকা প্রকাশ হতেই একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে।  এই নিয়ে সংশোধনের নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকেই সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হল। সংশোধিত তালিকা পেলে ফের স্ক্রুটিনি করবে পর্ষদ।  প্রাথমিকের তালিকা প্রকাশ হতেই বেশকিছু ভুল সামনে এসেছে। এই নিয়ে পর্ষদ এজেন্সির উপরেই দায় চাপাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, পর্ষদ বিষয়টির উপর নজর রাখছে।

সূত্রের খবর, যে এজেন্সি তালিকা তৈরির দায়িত্বে ছিল, তাদের কাছে জবাব চেয়েছে পর্ষদ। এই ভুল মানিক ভট্টাচার্যের আমলের বলেই দাবি পর্ষদের। আর সে সব পুরনো কাগজ আর ঘাঁটতে রাজি নয় পর্ষদ। তবে এমন ভুল আর কত আছে? সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে অনেক গরমিল আছে বলেও দাবি করেছেন আইনজীবী।

ভুল তথ্য দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ! মার্কশিট, সার্টিফিকেট নিয়ে ডিআই অফিসে হাজির হলেন এক শিক্ষক। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে! পর্ষদের দেওয়া তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। এই অবস্থায় নিজের নথি নিয়ে ডিআই অফিসে হাজির হলেন ওই শিক্ষক। তথ্য যাচাই করে হতবাক স্বয়ং স্কুল পরিদর্শকও। শোরগোল উত্তর দিনাজপুরে। 

ওই শিক্ষকের নাম বরুণচন্দ্র রায়। তিনি  ২০১৭ সালে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির একটি প্রাথমিক স্কুলের চাকরি পান। এখন কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-র দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত। পর্ষদের তালিকায় নাম রয়েছে ওই শিক্ষকের! দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে এবং তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় ডিআই অফিসে হাজির হন তিনি। সঙ্গে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এমনকী  ডিএলএড মার্কশিট ও সার্টিফিকেট।

বরুণ চন্দ্র রায়ের জানান, হাইকোর্টের কাছে যে তালিকা পেশ করেছে পর্ষদ তাতে তাঁকে নিয়ে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত। তারপরেও কিভাবে ওই তালিকায় তার নাম এল তা স্পষ্ট নয়। সেই কারণেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

এই নিয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক দুলাল সরকার জানান, ওঁর সমস্ত কাগজপত্র নথি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ওঁর নথিতে কোনও সমস্যা নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে যে কাট অফ মার্কসটা দেখাচ্ছে সেটা সঠিক নয়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট স্তরে জানানো হয়েছে। এবার বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।

close