নিউজ ডেস্ক: ফের প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি সামনে এল। বিএড, ডিএলএড কলেজকে এনওসি দেওয়ার জন্য ২০ কোটি নিয়েছিলেন মানিক, এমনই দাবি ইডি-র।
আদালতে ইডি-র আরও দাবি, কলামন্দিরে বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কলেজগুলিকে ৫০ হাজার টাকা চেক মানিকের ছেলের কোম্পানিতে দিতে বলা হয়।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে ছিলেন মানিক। বৃহস্পতিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফের তাঁকে আদালতে তুলে হেফাজত বৃদ্ধির আবেদন করে ইডি। পাল্টা জামিনের আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী।
মানিকের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, আর কতদিন তাঁর মক্কলে জেলে থাকবেন। তিনি কোথাও পালাবেন না। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। এর সঙ্গে তাঁর বয়সের কথা জানিয়েও জামিনের জন্য আর্জি জানান আইনজীবী।
যদিও, জামিনের বিরোধীতা করে ইডির আইনজীবী বলেন, এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের স্ত্রী-ছেলে ছাড়াও একাধিক আত্মীয়ের কাছ থেকে সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। মানিকের নির্দেশ মেনেই এই টাকা তোলা হয়েছিল। 'তোলাবাজি' করেছিলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। ইডির-র অভিযোগ, ২০১৪ সালে ৩২৫ জনকে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার মানিক মোট ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।