নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে অবস্থিত দাসনা দেবী মন্দিরের মহন্ত এবং জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর ইয়াতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী (যতি নরসিংহানন্দ গিরি) স্বাধীনতার অমৃত উৎসবের জন্য দেশে 'হর ঘর তেরঙ্গা' প্রচারাভিযানের বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে, ইয়েতি নরসিংহানন্দ কেন্দ্রীয় সরকারের 'হর ঘর তিরাঙ্গা' প্রচারণার বিরোধিতা করেছেন এবং হিন্দুদের কাছে তেরঙ্গা পতাকা বয়কট করার এবং তার জায়গায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের আবেদন করেছেন। ইয়েতি নরসিংহানন্দের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে।
হিন্দি সংবাদপত্র দৈনিক ভাস্করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাল ভিডিওতে ইয়েতি নরসিংহানন্দ গিরি বলেছেন, 'এদেশে তেরঙ্গার নামে খুব বড় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এই প্রচার চালাচ্ছে। তেরঙ্গা তৈরির সবচেয়ে বড় অর্ডার দেওয়া হয়েছে বাংলার একটি কোম্পানিকে, যার মালিক সালাউদ্দিন নামে এক মুসলিম।’
তিনি আরও বলেন, 'পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভণ্ড হিন্দুরা। হিন্দুদের দালালরা মুসলমানদের অর্থনৈতিক বয়কটের কথা বলে, তারা সবসময় চিৎকার করে যে হিন্দুরা মুসলমানদের অর্থনৈতিকভাবে বয়কট কর। কিন্তু সরকার গঠনের পর তারা মুসলমানদের সঙ্গে সরকারি চুক্তিও করে। হিন্দুদের বিরুদ্ধে এটা কত বড় ষড়যন্ত্র। এই প্রচারণা হিন্দুরা বয়কট করুন। যদি বাঁচতে চান তাহলে মুসলমানদের টাকা দিয়ে এই তিরঙ্গা অভিযান বয়কট করুন। আপনি যদি আপনার বাড়িতে তেরঙ্গা লাগাতে চান, তাহলে একটি পুরানো তেরঙ্গা খুঁজে বের করুন, কিন্তু সালাহউদ্দিনকে এভাবে এক টাকাও দেবেন না।’
ভাইরাল ভিডিওতে ইয়েতি নরসিংহানন্দ আরও বলেছেন, 'এই নেতাদের শিক্ষা নিতে হবে। যখন হিন্দুর টাকা কোনো মুসলমানের কাছে যায়, সে জিহাদের জন্য যাকাত দেয় এবং একই জাকাত আপনাকে এবং আপনার সন্তানদের হত্যার জন্য কাজে লাগে। এইসব প্রতারকদের কথায় ফেঁসে যাবেন না। সেজন্য আমি আপনাদের কাছে তেরঙ্গা বয়কট করার আবেদন করছি, কারণ এই তেরঙ্গা আপনাদের সর্বনাশ করেছে। প্রতিটি হিন্দুর বাড়িতে সর্বদা একটি গেরুয়া পতাকা থাকা উচিত।’
প্রকৃতপক্ষে, নরসিংহানন্দ গিরি এমন সময়ে এই বিবৃতি দিয়েছেন যখন কেন্দ্রের মোদী সরকার তেরঙ্গা অভিযানকে সফল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের সকল নাগরিককে অমৃত মহোৎসব (স্বাধীনতা দিবসের 75তম বার্ষিকী) উপলক্ষে 13 থেকে 15 আগস্ট পর্যন্ত তাদের বাড়িতে, প্রতিষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছেন।
