Kode Iklan atau kode lainnya

‘চোর ধরো জেল ভরো’ প্রিলিতে ফেল করেও ডব্লবিসিএসে প্রথম! আন্দোলনে PSC দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে উত্তাল। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে এমনকি সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেরই চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিত অধিকারীর চাকরিও বাতিল করে দিয়েছে আদালত।

তবে কেবল এসএসসি নয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার মুদিয়ালিতে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ। তাঁদের বক্তব্য, প্রিলিতে ফেল করেও ডব্লবিসিএসে প্রথম হয়েছেন এবং তিনি কর্মরত। তাঁকে চাকরী থেকে সরাতে হবে।

অভিযোগ, ২০১৭ সালে ডব্লবিসিএস একজিকিউটিভ পরীক্ষায় প্রথম হন প্রশান্ত বর্মন। আদালতে হলফনামা দিয়ে পিএসসির তরফে জানানো হয়েছে তিনি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মাত্র ১৩ পেয়েছিলেন। যেখানে কাট অফ ১২২। তিনি এখন কালচিনি ব্লকের বিডিও। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন প্রিলি পরীক্ষায় ফেল করেও কিভাবে তিনি ডব্লবিসিএস একজিকিউটিভ অফিসার হয়ে গেলেন?

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সাদা খাতা জমা দিয়ে তিনি পাশ করেছেন। সরকার একথা বলেছে যে তাঁকে প্রমোশন দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। শুধুমাত্র বিক্ষোভ নয়, যে দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চান তাঁরা। কারা ভাই বৃহত্তর দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে বের করতে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। 

এই মুহূর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এখন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিস্তর অভিযোগ ওঠায় চাপে শাসক দল।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুই বছর ধরে সরকারী চাকরির কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি করুক পিএসসি।  আইসিডিএস, ক্লার্কশিপ সহ একাধিক পরীক্ষার রেজাল্ট দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। একইসঙ্গে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে স্বচ্ছতা আনার দাবি জানানো হয়েছে। 

এই বিষয়ে বাম যুব নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, “২০১৭ সালে ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালে৷ ফল প্রকাশের পরেই জানা যায় বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিয়ে ১৬২ এবং ১৬৮ নম্বর পেয়েছেন ওই প্রার্থী৷ এর পর জল বহুদূর গড়ায়৷ আদালতে মামলাও হয়৷ আরটিআই রিপোর্টে জানা যায়, ওই প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মাত্র ১৩ পেয়েছেন৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে এটাও জানা যায় যে, পিএসসি’র দুই আধিকারিককে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় টালিগঞ্জ থানায় এফআইআর হয়৷ একাধিক মামলা হয়েছে৷ সেই বিডিও-কে সরকারি নোটিশ দিয়ে প্রমোশন আর পোস্টিং আটকে রাখা হয়েছে৷ অথচ ওই দুর্নীতিগ্রস্ত বিডিও-কে এখনও সরানো হচ্ছে না।”

close