Kode Iklan atau kode lainnya

ক্ষমতার অপব্যবহার করতে গিয়ে আদালতের নির্দেশে সাড়ে সাত লাখের গাঁটগচ্চা তিন শিক্ষকের

নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন টিচার ইন চার্জ। হাইকোর্টের নির্দেশে সাড়ে সাত লাখের গাঁটগচ্চা গেল রায়গঞ্জের তিন শিক্ষকের। শিক্ষিকার নিয়োগ ১৩ মাস আটকে দেওয়ার ঘটনায় ওই তিন শিক্ষক জড়িত ছিলেন।  এক্তিয়ার বহির্ভুত ক্ষমতার প্রয়োগ করতে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক ও একসময়ে স্কুলের দুই টিচার ইনচার্জও। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে গাঁটগচ্চা গেল কয়েক লাখ টাকা। 

অভিযুক্ত শিক্ষকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ‘দিনের পর দিন যেভাবে আপনারা এক অসহায় শিক্ষিকার নিয়োগ আটকেছেন, তার মাশুল আপনাদেরই দিতে হবে। রাজ্য সরকার ওই শিক্ষিকার বকেয়া বেতনের একটি টাকাও দেবে না। ভাগাভাগি করে আপনাদেরই তা মিটিয়ে দিতে হবে।’ 

জানা গেছে, উপযুক্ত নথি থাকা সত্ত্বেও সংযুক্তা রায় নামে ইংরেজির এক শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেয়নি রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কালীচরণ সাহা এবং দুই টিচার ইনচার্জ স্বপন ভট্টাচার্য ও শুভাশিস বসাক (আপাতত অবসরপ্রাপ্ত)। এক দু’দিন নয়, অন্তত ১৩ মাস আটকে রাখা হয় নিয়োগ। আদালতের হুমকির পর মাত্র দু’দিন আগে সংযুক্তকে নিয়োগ দিয়েছে স্কুল। এরপর শুক্রবার ছিল মামলার শুনানি। এদিন তিনজনকেই আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কেন তারা এমনটা করেছেন, তা জানতে চেয়ে তাঁদের কাঠগড়ায় তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

কিন্তু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন তাঁরা। অবশেষে শিক্ষিকার ১৩ মাসের বকেয়া বেতন বাবদ ৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ওই প্রধান শিক্ষক ও দুই টিচার ইনচার্জকেই মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ এপ্রিল।

close