Kode Iklan atau kode lainnya

শিক্ষক নিয়োগ: প্রাথমিকে প্রশ্নভুল মামলার শুনানি হল হাইকোর্টে, জেনেনিন আপডেট

 

নিউজ ডেস্ক: আজ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। প্রতিভা মন্ডলের করা প্রশ্নভুল মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের করা মামলাটি শুনিনি জন্য ১১ নম্বর কোর্টের ৬ নম্বর সিরিয়ালে লিস্টেড ছিল। যদিও ভার্চুয়াল মাধ্যমে দীর্ঘ শুনানি সম্ভব নয় বলে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ফেব্রুয়ারি মাসে ধার্য করা হয়েছে।  

এদিন আদালত এই মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন যে অর্ডার, সিঙ্গেল বেঞ্চে, সুপ্রিম কোর্টে হয়েছে সেগুলো একসঙ্গে জমা করতে বললেন। পাশাপাশি এই মামলার সঙ্গে জড়িত অন্য সমস্ত মামলা বা যেগুলো এখনও ট্যাগ হয়নি সেগুলো ট্যাগ করার কথা বললেন। যেহুতু মামলাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই এটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে শোনা সম্ভব নয় বলেই এলমত হন সকলে। ফলে মামলাটি আবার ফেব্রুয়ারি মাসে শোনা হবে।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। টেট ২০১৪ পর্বে দুটি ধাপে নিয়োগ হয়েছে। প্রথমটি হয়েছিল ২০১৬ সালে এবং পরবর্তী হয়েছিল ২০২০ সালে। নিয়োগ হলেও ছটি প্রশ্ন ভুল থাকার কারণে ২০১৭ সালে মামলা দায়ের হয়। ২০১৮ সালে ৩ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি চলে। সেখানে বিচারপতি নির্দেশ দেন, আবেদনকারীদের ছটি প্রশ্ন ভুলের মূল্যায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি পাশ করে তাহলে তাঁদের চাকরী দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

এরপর এই মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে মামলাকারীদের দাবী ছিল শুধুমাত্র আবেদেনকারীরা নয়, সকলকেই নম্বর দিতে হবে। যেহেতু প্রশ্ন ভুল ছিল তাই সকলকেই নম্বর দেওয়ার জন্য জানান তাঁরা। কিন্তু সেই সময় বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং সুভাশিষ দাশগুপ্তের বেঞ্চে মামলা উঠলে তা খারিজ হয়ে যায়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলে মামলার শুনানি। 

এই বিষয়ে গোটা বিষয়টিতে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, “আশা করি খুব শীঘ্রই প্রশ্ন ভুল মামলায় যারা দুর্দশাগ্রস্ত খুব শীঘ্রই পরিণতি পাবে। যা এতদিন চাকরীর আশায় ছিলেন তাঁরা দ্রুত সঠিক বিচার পাবেন”।

close