Kode Iklan atau kode lainnya

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নবম-দ্বাদশের মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নিয়ে উদ্যোগী হোক রাজ্য, আবেদন অনশনরত বঞ্চিত প্রার্থীদের

 

নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল পার্ক গেট নং ৫ এর সামনে ১৮৭ দিনের দীর্ঘ অবস্থান বিক্ষোভ ও রিলে অনশনের পর ধর্মতলা গান্ধীমূর্তির পাদদেশের কাছে নতুন করে শুরু হয়েছে এস এস সি মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত প্রার্থীদের অনশন।

২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নবম-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হয়, সেখানে নাম্বার ভিত্তিক মেধাতালিকা না প্রকাশ, রেশিও মেনে নিয়োগ না করা, মেধাতালিয়ায় অপেক্ষাকৃত পেছনের সারির প্রার্থীকে আগে নিয়োগ, এস এম এসে দুর্নীতি প্রভূত কারণে প্রথম দফায় ডাক পাওয়া সুপরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত প্রার্থীদের ২০১৯ সালে ২৯ দিনের দীর্ঘ অনশন হয়। 

সেখানে মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি সম্পর্কে অবগত হয়ে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত সকল প্রার্থীর চাকরী সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং অকৃতকার্য রাও চাকরী পেয়েছে। দুর্নীতির প্রতিবাদস্বরূপ আরো একবার মহামান্য উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের নিকট ২০২১ এর জানুয়ারীতে শীত, ঝড়, মহামারীর প্রচণ্ডতাকে উপেক্ষা করে সম্পুর্ণ অরাজনৈতিকভাবে ১৮৭ দিনের যে দীর্ঘ অনশন ও অবস্থান বিক্ষোভ হয় ন্যায্য চাকরীর দাবীতে।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ণের উদ্দেশ্যে বঞ্চিতদের দাবীর যথার্থতা বিচার করে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও এস এস সি এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক সন্মেলন করে বঞ্চিতদের ন্যায্য  চাকরী সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। ৪০ দিন সময় চাইলেও সেই সময়কাল এর পরও  মেধাতালিকাভুক্ত অথচ দুর্নীতির কারণে সুপরিকল্পিত ভাবে বঞ্চিত প্রার্থীদের এখন ও কোনো সুবিচার মেলেনি। আন্দোলনকারী প্রশান্ত বাউরি, তমা হোসেন, আরব গাজী, রাকিব হোসেন, মৌ মন্ডল, কোয়েল, মমতা সামন্ত, তৃষা হালদার, জয়দেব পাল, সঙ্গীতা, প্রণব মন্ডল, শুভম বিশ্বাস, সুজিত শর্মা, সুখেন সরকার, লক্ষী পাল, তুলিকা সাহা, প্রত্যুষা মৈত্র এর কথায়, "আজ যেখানে শিক্ষকের অভাবে সরকারী স্কুল বন্ধের উপক্রম;সেখানে ন্যায্য চাকরী চাইতে গিয়ে মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিতদের উপর চলছে পুলিশের অত্যাচার। মিথ্যা কেস দিয়ে চলছে ন্যায্য অধিকারের দাবীকে দমিয়ে রাখার অদম্য প্রয়াস।"

বাংলার খেটে খাওয়া মেহেনতি মজদুর সমাজের মানুষ গুলোর ভরসা তাদের স্নেহের দিদি, ভালোবাসার দিদি, ন্যায়ের দেবী, বাংলার মাতৃসমা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এই দুর্নীতির সুবিচার করে তাদের মেধাতালিকাভুক্ত অথচ দুর্নীতির কারণে সুপরিকল্পিত ভাবে বঞ্চিত ছেলে মেয়েদের সুবিচার করবে। সোনার বাংলার গড়ার কান্ডারীর উপর ভরসা করেই এখন ও শিক্ষক হওয়ার আশায় বুক বাঁধছে এই কৃষক শ্রমিক দিনমজুর পরিবারের ছেলে মেয়েরা।

close