Kode Iklan atau kode lainnya

প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিকেও পঠন-পাঠন শুরু করার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি

নিউজ ডেস্ক: দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে আবারও স্কুলের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হতে চলেছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলতে চলেছে স্কুল।  স্কুল খোলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রাথমিক স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধই থাকছে। 

শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নয়, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকেরও ক্লাস শুরু করতে হবে। এই দাবিতে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তরের সচিব ও স্কুল কমিশনারকে চিঠি দিল এবিপিটিএ। প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক অর্থাৎ প্রথম থেকে পঞ্চম, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু না হলে ছাত্র- ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ও সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার যে ক্ষতির আশঙ্কার রয়েছে তা শিক্ষা মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক ক্লাস চালু না হলে স্কুলছুটের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। ক্লাসে এসে পঠনপাঠনের অনীহা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আরও বেড়ে যাবে। 

গত কুড়ি মাস ধরে অনলাইন ক্লাস হলেও বহু ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত ক্লাস করতে পারেনি। বিদ্যুৎ সরবরাহ অপর্যাপ্ত ও ইন্টারনেট ঠিকঠাকভাবে কাজ না করায় গ্রামাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাসের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকে গেছে। এই ব্যবস্থা আরও বেশি করে চলতে থাকলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত আকার নেবে। 

প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে শুধুমাত্র ‘অ্যাকটিভিটি টাস্ক’ দেওয়া ও নেওয়ার মধ্যে দিয়ে পঠনপাঠন সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। গত এক বছর ধরে মিড ডে মিল সরবরাহের দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকটিভিটি ট্যাঙ্ক দেওয়া-নেওয়ার কাজ হচ্ছে। 

এবিপিটিএ মনে করে, এই অ্যাকটিভিটি টাস্ক দেওয়া নেওয়ার মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ক্লাসের মধ্যে পঠনপাঠন ছাত্র-ছাত্রীরা প্রকৃত শিক্ষা পেয়ে থাকে। তাছাড়া স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিলের রান্না করা খাবার থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে । তাই অবিলম্বে সমস্ত ধরনের কোভিড় বিধি মেনে সরকারকে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের স্কুল খােলার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে এবিপিটিএ।

close