DA না দিয়ে এই অর্থ ব্যয় কেন? অর্থের সংস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের

সরকারী ছুটির লিস্ট (holiday list) প্রকাশ
ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের হরেক ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বিভিন্ন ভাষায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কাছে যাচ্ছিল শুভেচ্ছা বার্তা। কিন্তু, এই নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের মধ্যে দেখা গেল প্রবল ক্ষোভ। বাকেয়া DA না দিয়ে এই খরচের জন্য অর্থের সংস্থান কোথা থেকে হচ্ছে? তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন DA আন্দোলনকারীরা।

রাজ্য সরকারের এই বিভিন্ন ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো নিয়ে তোপ দেগেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাংশ। এই প্রসঙ্গে DA আন্দোলনকারীদের একাংশের আস্ফালন, "৫টি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা সরকারি কর্মচারীদের। এই অর্থ কোথা থেকে আসছে যখন সরকারের কাছে টাকা নেই?"

এই নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা বলছেন, “এসব শুভেচ্ছার কোনো সারবত্তা নেই। এ রাজ্যের কর্মীদের অধিকার-মর্যাদা রক্ষায় এই সরকারের কোনো সদর্থক ভূমিকা নেই। কর্মীদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনায় তো তিনি বসতেই চান না, চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানে তিনি সম্পূর্ণ উদাসীন। ফলে তাঁর এই আয়োজন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রতি বার কালীপুজোয় শুধু বাংলায় শুভেচ্ছা পেতাম। এ বার পঞ্চব্যঞ্জনের মতো বাংলা, ইংরেজি, ওড়িয়া, সাঁওতালি, হিন্দিতে শুভেচ্ছা বার্তা অভিনব। হোয়াটসঅ্যাপে শুভেচ্ছা এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা যেখানে ৪৬ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পান, সেখানে আমরা পাই ৬ শতাংশ। এটা তো কোনও উৎসাহ ভাতা নয়। এটা আমাদের বেতনের একটা অংশ। বৈষম্য দূর না করে এই শুভেচ্ছা বার্তা অর্থহীন।’’ 

বিষয়টি নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষক কিংকর অধিকারী বলেন, “এখনো পর্যন্ত চারটি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা পেলাম মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। সমস্ত শিক্ষক কর্মচারীগণও পেয়েছেন। এর জন্য যদি সরকারের অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে তাহলে তা বিরাট অপচয় ছাড়া কিছু নয়। এর চেয়ে সমস্ত বঞ্চনার অবসানে মনোযোগী হোক সরকার।”