নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশে স্কুলে ফিরছেন কর্মচ্যুতরা। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একাংশের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইমতো এসএসসি সংশ্লিষ্টদের নিয়োগের সুপারিশপত্র ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগপত্র বাতিল করেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশে গত ১২ এপ্রিল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়ে আপাতত তা কার্যকরী যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মতো এসএসসি এবং পর্ষদ চাকরি খারিজের বিজ্ঞপ্তি রদ করল। ফলে ওই কর্মচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কর্মস্থলে ফিরতে এই মুহূর্তে বাধা নেই।
প্রাথমিকে চাকরিহারা শিক্ষকরাও কী চাকরি ফিরে পাবেন? পরামর্শ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
যদিও হাই কোর্টে এই মামলার মূল মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, ফিরদৌস শামিমদের বলেন, “এটা করা যায় না। মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ করতে বলেনি। বুধবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।”
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশে ধাপে ধাপে চাকরি গিয়েছিল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনের। প্রথমে ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১১ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। এরপর ৩ মার্চ নবম-দশম স্তরের ৬১৮ জন সহকারী শিক্ষক, ৪ মার্চ নবম-দশমের আরও ১৫৭ জন সহকারী শিক্ষক ও ১১ মার্চ ৮৪২ জন গ্রুপ-সি কর্মীর নিয়োগপত্র বাতিলের নির্দেশিকা জারি করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
SSC: কারোর চাকরি বাতিল নয়, চাকরিহারাদের আপাত স্বস্তি মিলল, তবে কী স্কুলে যোগ সময়ের অপেক্ষা?
একাধিক ডিআই জানিয়েছেন, আপাতত ওই কর্মচ্যুত নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকা, গ্রুপ-সি এবং ডি'র শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে পুনর্বহালের নির্দেশ কার্যকরী করা হবে। তবে মার্চ-এপ্রিলে যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশেই ওই শিক্ষক-কর্মীরা কর্মরত ছিলেন না, তাই তাঁদের সেই সময়ের বেতন পাওয়ার কথা নয়। মে মাস থেকে বেতন চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।