SSC: কারোর চাকরি বাতিল নয়, চাকরিহারাদের আপাত স্বস্তি মিলল, তবে কী স্কুলে যোগ সময়ের অপেক্ষা?

সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত নিয়োগ বাতিল নয়, স্কুলগুলিকে চিঠি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। চাকরিহারাদের আপাতত স্বস্থি মিলল। চাকরিহারাদের নিয়ে গুরুত

 অযোগ্য শিক্ষক সুপ্রিম কোর্ট

নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত নিয়োগ বাতিল নয়, স্কুলগুলিকে চিঠি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। চাকরিহারাদের আপাতত স্বস্থি মিলল।  চাকরিহারাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগ বাতিল নয় সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত, স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশ জারি করে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগ বৈধ থাকবে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছিলেন নবম ও দশম শ্রেণির ৯৫২ জন শিক্ষক, গ্রুপ সি’র বহু এবং গ্রুপ ডি’র ৮৪২ জনের। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিহারারা।  সোমবার পর্ষদ জানাল, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না বেরোনো পর্যন্ত নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল হবে না।  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশ মুলতুবি রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও চাকরিচ্যুতদের এখনই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশের ভিত্তি করেই বিজ্ঞপ্তি দিল পর্ষদ।

গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে চাকরিহারাদের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া বৈধ নয়। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই মামলায় বড়সড় দুর্নীতি রয়েছে। তাই আরও শুনানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। চাকরিহারাদের আইনজীবীর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত স্বপদে বহাল।

সোমবার সব জেলার স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ পাঠাল পর্ষদ। জানাল, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না বেরোনো পর্যন্ত নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল হবে না। গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হাই কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যত চাকরি এখনও পর্যন্ত বাতিল করেছে, তা মুলতুবি রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের চাকরি আপাতত বাতিল হচ্ছে না। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছিল। তার পর সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বহাল রাখার আবেদন জানান কর্মীরা। সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশ মুলতুবি রাখে শীর্ষ আদালত।

LihatTutupKomentar
close