নিউজ ডেস্ক: অবশেষে নিয়োগ জট কাটতে চলেছে উচ্চ প্রাথমিকের। আগামীকালের মধ্যেই হলফনামা জমা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।সিদ্ধার্থবাবু জানিয়েছেন, ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদের জন্য ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা তৈরি হয়েছে।
দীর্ঘ আট বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। এরফলে একদিকে যেমন শিক্ষকের অভাবে সমস্যায় পড়ছে স্কুলগুলো। অন্যদিকে, হতাশা বাড়ছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। তবে এবার দ্রুত নিয়োগ জট কাটাতে সচেষ্ট হয়েছে রাজ্য সরকার। উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।
উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়া এবং পরে যোগ্য বলে বিবেচিত ১,৫৮৫ জন উচ্চ-প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া পেন্ডিং হয়ে ছিল। আদালতের নির্দেশক্রমে তাঁদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াও শেষ করে কমিশন। এবার আদালত কোনও আপত্তি না করলে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা থাকবে না।
বেশকিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রেই যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা যথেষ্ট নয়। সে কারণে শূন্যপদের চেয়ে কাউন্সেলিংয়ের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার প্রার্থীর সংখ্যা কম। হিসাব অনুযায়ী গণিত সহ বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে যে শূন্যপদ রয়েছে, তাতে সবারই চাকরি হয়ে যাবে। ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা তৈরি হয়েছে। তবে, সব বিষয়ে শূন্যপদ এবং প্রার্থীর অনুপাত সমান নয়। তাই কিছু বিষয়ের প্রার্থীরা সবাই হয়তো চাকরি নাও পেতে পারেন।
সিদ্ধার্থবাবু জানিয়েছেন, আগের তালিকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ওএমআর শিটে যদি কোনও অসঙ্গতি থেকে থাকে, সেসবও উল্লেখ করা থাকবে হলফনামায়। অন্দরের খবর, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগেও বহু ‘সফল’ প্রার্থীর ওএমআর শিটে গরমিল পেয়েছে এসএসসি। সেসব খুঁজে বের করতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে কমিশনকে। এর জন্য সময়ও লেগেছে কমিশনের।