নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের পেশ করা প্রমাণ বিকৃত নয় বলে ডিভিশন বেঞ্চে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ৮৪২ জন অযোগ্য ক্লার্কের। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছেন চাকরিহারারা। কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের উদ্ধার করা OMR এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল গ্রুপ সির বাতিল ক্লার্করা। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে গ্রুপ সি মামলার চাকরি হারানো ৮৪২ জনের একাংশ এই মামলা করেছেন।
সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং আদালতে পেশ করা তাদের তথ্যপ্রমাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলুল চাকরিহারারা! মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
মামলাকারীদের আইনজীবীরা বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে আদালতে ওএমআর শিট জমা করা হয়েছে৷ সেই ওএমআর শিট দেখিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, বেআইনিভাবে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে৷ সিবিআইয়ের পেশ করা এই ওমআরশিট যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত করা হয়নি, তার নিশ্চয়তা কী? কারণ, এই OMR গুলি তো NYSA র অফিস থেকে উদ্ধার হয়নি, এগুলি তো তাদের এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। এর যথার্থতা কে মূল্যায়ন করল?”
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার SSC-কে প্রশ্ন করেন, “মামলাকারিরা প্রশ্ন তুলছেন যে আপনারা যে OMR আপলোড করেছেন সেগুলি .jpg ফরম্যাটে আছে, যেগুলি বিকৃত করা সম্ভব। এ বিষয়ে আপনাদের কি বলার আছে? সিবিআইয়ের দেওয়া রেকর্ড আপনারা কিসের ভিত্তিতে গ্রহণ করলেন?”
জবাবে কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, "নথি সবসময়ই বিকৃত করা সম্ভব৷ কিন্তু, এক্ষেত্রে আদৌ কি তেমন কিছু করা হয়েছে? সেটাই হল আসল প্রশ্ন৷ সিবিআই আমাদের যে নথি দিয়েছিল, আমরা তা খতিয়ে দেখেছিলাম৷ তারপরই সেগুলি আসল বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ আমাদের তরফে আগে কিছু ভুল হয়েছিল৷ আমরা সেই ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করছি৷"
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "এই ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়েছিল যে এটা একটা Public Scam. আদালতের এই নির্দেশ কোথাও চ্যালেঞ্জ হয়নি। কেউ এগিয়ে এসে বলেননি যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল। আদালতের চাপে সব তথ্য বাইরে আসছে।"
ডিভিশন বেঞ্চে অযোগ্যদের আবেদন, "মন্ত্রী-আধিকারিকরা জেলে আছেন। আমাদেরও জেলে পাঠিয়ে দিন, উপোস করতে হবে না। ওখানে তো খাবার দেয়। এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, এই মামলায় সিবিআইকেও 'পার্টি' করতে হবে৷ বুধবার ২২শে মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।