২০১৪ টেটের মতো ২০১২ সালেও ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল? পর্ষদের ভূমিকা আতস কাঁচের তলায়
নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছেন।
মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম নিয়োগ হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রথম নিয়োগ থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে বলে মনে করছে ইডি। শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে টেট ২০১২ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১২ সালের টেটের জন্য প্রাথী জোগাড় করেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ওই প্রোমোটার। জেরায় এমনই তথ্য কুন্তল দিয়েছেন বলে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে।
এই অবস্থায় ওই বছরে টেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্ষদ সচিব সহ অন্য আধিকারিকদের ভূমিকা এখন আতস কাঁচের তলায়। ২০১৪ টেটের মতো ওএমআর শিটে কোনও কারচুপি হয়েছিল কি না, জানতে তার কপিও সংগ্রহ করবেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হবে প্রকাশিত মেধা তালিকাও। পাশাপাশি ২০১৪ সালের টেটে অয়নের মাধ্যমে কতজন অযোগ্য প্রার্থী স্থান পান, সেটিও তাঁদের নজরে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের টেটের ওএমআর শিট মিলেছে অয়নের ফ্ল্যাটে। অয়নের বাড়ি থেকে টেট ও নবম দশম শ্রেণী ছাড়াও বিভিন্ন পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিট মিলেছে। যা ছাপাইয়ের বরাত পেয়েছিল এই প্রোমোটারের
গতকালই নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। পাশাপাশি, তলব করা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচীকেও। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তলব করা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচীকে। মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। ২০১২ এবং ২০১৪ সালের টেটের মাধ্যমে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি নিয়ে পর্ষদের কর্তারা হাজিরা দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নথি নিয়ে হাজিরা দেন পর্ষদের দুই প্রতিনিধি।