Kode Iklan atau kode lainnya

ডিগ্রি কোর্সে বিরাট পরিবর্তন, আমূল পরিবর্তন স্নাতক স্তরে, নতুন পদ্ধতিতে কী কী থাকছে? জানুন একনজরে

নিউজ ডেস্ক: আর নয় তিন বছরের কোর্স, এবার রাজ্যে চালু হচ্ছে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স। জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে রাজ্যে চালু হচ্ছে চার বছরের অনার্স ডিগ্রি কোর্স। আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ জুলাই থেকে নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। 

স্নাতক পাঠ্যক্রম নিয়ে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা উল্লেখ করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে শুক্রবার চিঠি পাঠানো হয়েছে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে। রেজিস্ট্রারদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আওতাধীন কলেজগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে দেওয়া হয়েছে। 

এবছর যারা উচ্চমাধ্যমিক দিচ্ছে, তারা এই নতুন নীতির মধ্যে আসবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এর নিয়মকেই কার্যকরী করা হচ্ছে। এছাড়াও এবছর থেকে রাজ্যের একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমেই চলবে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া।

◾নতুন পদ্ধতিতে কী কী বলা আছে?

🔹 এখন থেকে যেকোন সময়, যতবার খুশি স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করা থেকে বিরত থাকা বা ভর্তি হওয়া যাবে।

🔹 ১ বছর পর পড়া ছেড়ে দিলে দেওয়া হবে UG Certificate

🔹 ২ বছর পর পড়া ছেড়ে দিলে দেওয়া হবে UG Diploma

🔹 ৩ বছর পর পড়া ছেড়ে দিলে দেওয়া হবে Bachelor Degree

🔹 ৪ বছর পড়াশোনা করলে, তবেই মিলবে Honours Bachelor Degree

🔹 এছাড়াও চতুর্থ বছরে থাকছে গবেষণার সুযোগ। যা সম্পন্ন করলে মিলবে Honours with Research Degree

🔹 এছাড়াও স্নাতক স্তরে পড়াশোনার সাথে মিলবে Internship এর সুযোগ। ব্যবসা, শিল্প, কলা, বিজ্ঞান ইত্যাদি সব বিষয়েই মিলবে এই সুযোগ।

🔹 যেকোন সময়ে Offline, Online, ODL, Hybrid পদ্ধতির মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে এই নতুন পদ্ধতিতে।

🔹 যেকোন সময় বিষয় পরিবর্তন করারও সুযোগ দেওয়া হবে।

এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের চার বছরের অনার্স ডিগ্রি কোর্সেই ভর্তি হতে হবে। এতদিন রাজ্যে ডিগ্রি কোর্স ছিল তিন বছরের। সেটাই বেড়ে হচ্ছে চার বছরের। তবে তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সও থাকছে। সেক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি মিললেও অনার্স মিলবে না।

নয়া পদ্ধতিতে থাকছে একাধিক সুবিধা। স্নাতকের দু’টি সেমেস্টার (প্রথম বর্ষ) উত্তীর্ণ হলে সার্টিফিকেট কোর্স, চারটি সেমেস্টার (দ্বিতীয় বর্ষ) উত্তীর্ণ হলে ডিপ্লোমা বলে গ্রাহ্য হবে। ছয়টি সেমিস্টার পাশ হলে মিলবে পাশ ডিগ্রি। চার বছরের কোর্সটি গবেষণাভিত্তিকও হতে পারে। ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থাকলে সরাসরি পিএইচডির ‘কোর্সওয়ার্ক’ শুরু করা যাবে। সেক্ষেত্রে মাস্টার ডিগ্রির নির্ধারিত এক বছরের কোর্সটি শেষ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য কয়েক বছর আগে থেকেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের সময়সীমা দু’বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করা হবে। যদিও এদিন রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা পাঠায়নি। তবে নতুন পদ্ধতিতে যে বিষয়টি ভাবচ্ছে তা হল শিক্ষকদের স্বল্পতা। রাজ্যের বেশিরভাগ কলেজেই শিক্ষক সংকট। সেখানে আরও এক বছর বাড়লে কিভাবে পঠন-পাঠন চলবে তা নিয়েই চিন্তিত সংশ্লিষ্ট মহল।

close