Kode Iklan atau kode lainnya

'দুটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে শিক্ষকপদে চাকরি’, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আদালতে বিরাট দাবি ইডি-র

নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। 'কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হত চাকরিপ্রার্থীদের। বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে নিষেধ করা হয়েছিল', নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় এমনই দাবি ইডি-র। 

উত্তরপত্রে কী ভাবে কারচুপি করতে হবে তা নিয়ে বড় তথ্য জানাল ইডি। প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতেই ওএমআর শিটে কারচুপি, আদালতে জানাল ইডি। ইডির আইনজীবী জানান, যাঁরা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন সেই সব অযোগ্য চাকরীপ্রার্থীদের এমন ভাবেই উত্তর পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাকি ওএমআর শিট ফাঁকা রাখার নির্দেশ ছিল। 

আদালতে ইডির দাবি, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরায় উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতেই চলত এই কর্মকাণ্ড বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

ব্যাঙ্কশাল আদালতে তদন্তকারী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিটে দুর্নীতি করতে ব্যবহার করা হত বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’। তদন্ত করার সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ওএমআর শিটে অনেকগুলি উত্তরের মধ্যে সঠিক উত্তর বাছার জন্য যে গোল জায়গাগুলি থাকত সেখানেই এই ‘গুপ্ত সঙ্কেতের’ ব্যবহার হত। নির্দিষ্ট দু’টি প্রশ্নের জন্য ওএমআর শিটে গোল শূন্যস্থান পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হত। ফাঁকা রেখে দেওয়া হত বাকি উত্তরপত্র। আর ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তর দেখেই চাকরি দেওয়া হত অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে এই ভাবেই নিয়োগ হয়েছিল। 

close