নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির (SSC) একাধিক নিয়োগ নিয়ে এই মুহূর্তে আদালতে মামলা চলছে। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রেই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একাধিক মামলার তদন্ত বা অনুসন্ধান করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। রাজ্যের স্কুলগুলোতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ দীর্ঘ আট বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন শিক্ষকের অভাবে স্কুলের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ধর্য্যের বাঁধ ভাঙছে চাকরি প্রার্থীদের।
এরই মধ্যে, উচ্চ প্রাথমিকে ৮ বছর থমকে থাকা নিয়োগ-জট খোলার ব্যাপারে আরও এক ধাপ এগোল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নাম ও সই ছাড়া অনলাইন ভেরিফিকেশনের সময়ে নথি আপলোড হয়নি, এমন ১,১০০ প্রার্থীকে সম্প্রতি নথি আপলোড করার দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছিল এসএসসি। এঁদের মধ্যে ৯৫০ জন কমিশনের সূচি মেনে ১৩ অগস্টের মধ্যে নথি আপলোড করেন। তাঁদের ১৫০ জনের যোগ্যতামান এসএসসি নির্ধারিত কাট সায় অফ মার্কসের সমতুল বা বেশি। ফলে এঁরা নতুন করে ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন বলে কমিশন সূত্রে খবর।
আবার, ইন্টারভিউয়ে ডাক না-পাওয়া ১৮,৩৫৬ জন প্রার্থী আগেই আদালতের নির্দেশ মেনে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যুগ্মসচিব পর্যায়ের আধিকারিকের মাধ্যমে অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি হয়। যে প্রার্থীদের কোনও কারণে অ্যাকাডেমিক স্কোর কমে গিয়েছিল বা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক এবং বিএড-এর নথি আপলোড করা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, তাঁদের অভিযোগের নিষ্পত্তি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এঁদের ১,৪৪৮ জনের নম্বর কাট অফ স্কোরের বেশি হওয়ায়, তাঁরাও ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। অর্থাৎ নতুন করে নথি আপলোডের পরে ১৫০ এবং অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া ১৪৪৮ – এই দুই ধরনের প্রায় ১৬০০ প্রার্থীকে ফের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হচ্ছে।
যে প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আগামী ৫ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে। কত জনের নথি যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে ও কত জন ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তা হাইকোর্টকে জানানো হবে। পাশাপাশি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। আদালত অনুমতি দিলেই শুরু হবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদের জন্য ১৫,৪৩৬ জনকে ইন্টারভিউয়ে ডেকেছিল কমিশন। উপস্থিত হন ১২,৭৯২ জন। তার মধ্যে আবার ভুল টেট স্কোরের ভিত্তিতে ২৪৭ জনের ইন্টারভিউ নিয়েছিল কমিশন। তাঁদের হলফনামা দিয়ে বাতিলের আবেদন করা হয়েছে আদালতে। এখন এই ১,৬০০ প্রার্থীর ইন্টারভিউ হলেই কমিশন আদালতে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন জানাবে। আদালত সম্মতি দিলে পুজোর আগেই নিয়োগ প্যানেল প্রকাশ করে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরুর দিকে এগোতে পারে কমিশন।