নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জর্জরিত রাজ্য সরকার। আদালত পরপর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে নতুন নিয়োগই। পুজোর পরেই হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। দু’দিন আগেই সমস্ত জেলা থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বিস্তারিত হিসেব।
পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালও বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুতিটা সেরে রাখতে চাইছি।’ টেটের দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য এখনও হয়নি। তবে সূত্রের খবর, পুজোর পরেই তা নেওয়া হবে। বিকাশ ভবনের হিসেব অনুযায়ী শূন্যপদের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২৫ হাজারের কাছাকাছি।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুজোর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করা হবে। এছাড়া প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা এবং নিয়োগ চলবে। পরবর্তী সময়ে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনি পট পরিবর্তন হয়েছে। ফলে পিছিয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। এবার কোমর বেঁধে নামতে চাইছে রাজ্য সরকার।
২০১৭ সালে বিজ্ঞাপিত টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেই নিয়োগ এখনও বাকি রয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার জট কাটানোর পাশাপাশি নতুন করে টেট নিয়ে রাখতে চাইছে সরকার। শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নবগঠিত অ্যাড হক কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে বলে খবর।
রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী আগামী টেটে বসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে ফের কর্মসংস্থানের সুবাতাস বইতে শুরু করবে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এর পাশাপাশি, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও ধাপে ধাপে নিয়োগ শুরু হবে। তবে তারও আগে হবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ। সব মিলিয়ে স্কুলশিক্ষায় শিক্ষকের অভাব ঘুচবে এবং উন্নত হবে পঠন-পাঠন।