নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টে লড়াই শুরু হতে পারে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হতে পারে, প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় মামলাকারীর ক্যাভিয়েট দাখিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এমনকি রাজ্য সরকারও।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রেখেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা বহাই কোর্টের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ হতে পারে, এই আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মামলাকারী সৌমেন নন্দী। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে যাতে একতরফা শুনানি না হয়, তাই সৌমেনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করবে সিবিআই-ই। আদালতের নজরদারিতে সেই তদন্ত হবে। এ ছাড়া এই মামলার যে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরও পুনর্বহাল করা যাবে না।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের নির্দেশও বহাল রেখে ডিভিশন বেঞ্চ বুঝিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিচ্ছে তারা। এ ছাড়া টেট মামলায় পর্ষদের জমা দেওয়া নথির সত্যতা নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তা-ও সমর্থন করে ডিভিশন বেঞ্চ।
যদিও মামলাকারী পক্ষ মনে করছে ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা রাজ্য বা চাকরি হারানো শিক্ষকরা। আশঙ্কায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মামলাকারী সৌমেন নন্দী।
