Kode Iklan atau kode lainnya

নজিরবিহীন: সমস্ত OMR শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে! বিচারপতির নির্দেশে বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

 সমস্ত OMR শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে! বিচারপতির নির্দেশে বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।  আজ শুক্রবার, আদালতে, প্রাথমিকের আসল OMR নিয়ে একটা মামলা ওঠে। সেখানেই এই তথ্য জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

তবে পর্ষদের এই বক্তব্যে খুশি নন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, RTI নিয়ম অনুযায়ী ২০ বছর তথ্য রাখতে হবে।  কবে, কিভাবে, কার সামনে, কতসংখক চাকরি প্রার্থীর ওএমআর নষ্ট করা হয়েছিল তা পর্ষদ কে জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

২০১৪ সালের কিছু চাকরি প্রার্থী ওএমআর শিট চেয়ে পর্ষদে আবেদন করেন। যদিও পর্ষদ তা না দিয়ে ডিজিটালি তথ্য দেয়। এরপরেই তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি জানতে চাইলে পর্ষদ জানায় ওএমআর শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। এটা শুনে একাধিক প্রশ্ন করেন বিচারপতি। নিয়ম বহির্ভূত কাজ কেন করল পর্ষদ? তাও তিনি জানতে চান বিচারপতি। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য হলফনামা আকারে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। বিচারপতির এই নির্দেশে বিপাকে পড়তে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

এর আগে, প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে লক্ষ লক্ষ  টাকার খেলা হয়েছে বলে মনে করে বাগদা চন্দন মন্ডলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে CBI তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ জানায়, টেট প্রশ্ন ভুল ছিল ১ টি। তাই প্রশ্ন ভুল অ্যাটেম্পে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬৯ জনকে ১ নম্বর দিয়ে টেট উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। এতেই টেটে কারচুপির জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, নতুন করে মামলায় আনা এমন অভিযোগের ভিত্তি নেই। তবে ২০১৭ সালে বোর্ডের সিদ্ধান্তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৯ জন টেট পাশ করেন,প্রশ্ন ভুলের ১ নম্বর পেয়ে। এদের মধ্যে কেউ চাকরি পেয়েছে জানা নেই। ১৮ জনের টেট ফেলের তালিকা নিয়ে কিছু জানা নেই। পাপিয়া মুখার্জি সাদা খাতা নিয়ে বোর্ডের কাছে তেমন তথ্য নেই। ওএমআর শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে তবে সফট কপি আছে। 

সওয়ালে রাজ্যের আইনজীবী জয়দীপ কর দাবি করেন,২০১৭ সালের ঘটনা। সেই অভিযোগের বিচার ৫ বছর পর ২০২২ হতে পারেনা। 

অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  তার ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হয়। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেও উত্তর মেলেনি।

close