Kode Iklan atau kode lainnya

‘ওএমআর শিট যেন ফাঁকা থাকে’, ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার রেটে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি! নজিরবিহীন তথ্য সামনে এল

 ‘ওএমআর শিট যেন ফাঁকা থাকে’, ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার রেটে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি! নজিরবিহীন তথ্য সামনে এল

নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম দুর্নীতি হয়েছে। ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার রেটে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি হয়েছিল! চার্জশিটে এমনটাই জানাল ইডি। শিক্ষক নিয়োগে (teacher recruitment) দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাথমিক চার্জশিট (charge sheet) জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেখানেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

কীভাবে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হত! ইডি উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছে যে, ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা রেটে শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন শিক্ষা দফতরের উচ্চপদে থাকা আধিকারিক ও কর্মচারীরা।

শেফালি মণ্ডলের কথাই ধরা যাক। মালদহের এই মহিলা বিধবা। তিনি বল্লভপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। ইডির কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে শেফালি জানিয়েছেন, তাঁর পোস্টিং, বদলি ও বেতনের ব্যাপারে তিনি ২০১৭ সালে একবার বিকাশ ভবনে এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওএসডি-র অধীনস্ত এক কর্মচারীর সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষা দফতরের সেই কর্মী তাঁকে টোপ দেন যে শেফালির দুই যমজ মেয়ের স্কুলের চাকরি তিনি করে দেবেন। তার জন্য ৮ লাখ টাকা করে লাগবে। ওই কর্মচারী নাকি এও দাবি করেছিলেন যে, তিনি যে সব নাম সুপারিশ করেন, পার্থ নাকি তাঁদের চাকরি করে দেন। এই বলে ওই কর্মচারী ওই মহিলার বাড়িতে একটা গোটা দিন কাটান ও মহিলার থেকে টাকা নেন। কিন্তু শেফালি যমজ মেয়েদের চাকরি হয়নি।

ইডি আরও সাক্ষীর বয়ান নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাগদার ব্যাটারির দোকানের মালিক জয়ন্ত বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী পাপিয়া মুখোপাধ্যায়। জয়ন্ত জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অবসরকালীন সঞ্চয়ের টাকা থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা তুলে স্ত্রীর চাকরির জন্য দিয়েছিলেন।

জয়ন্ত ইডিকে জানিয়েছেন, চন্দন মণ্ডল নামে এক মিডলম্যানকে সেই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। ওই মিডলম্যান পাপিয়াকে বলে দিয়েছিলেন, লিখিত পরীক্ষায় কেবল সেই সব প্রশ্নের উত্তর যেন তিনি দেন, যেগুলি তিনি সঠিক ভাবে জানেন। বাকি ওএমআর শিট যেন ফাঁকা রাখেন। পাপিয়া তাই করেন এবং তাঁর চাকরি হয়।

আবার সুজয় বিশ্বাস নামে এক মাছের ব্যবসায়ীও অবনী মণ্ডলকে প্রাইমারি চাকরির জন্য ৭ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা ধার করে অবনীকে দিয়েছিলেন মাছ ব্যবসায়ী সুজয়।

close