Kode Iklan atau kode lainnya

নজিরবিহীন: পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা, ‘দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে’, কী করলেন পার্থ?

নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি তাতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল খতিয়ে দেখে অনেক তথ্য পেয়েছে ইডি। পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য! জেনেশুনে ‘চুপ’ ছিলেন পার্থ, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল।

তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে এলেও সমস্ত কিছু অস্বীকার করেছেন মানিক। তবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের নাম। গোয়েন্দাদের তদন্তে যা উঠে এসেছে, তাতে মানিকের দুর্নীতি-যোগ আরও জোরাল হচ্ছে।

গত সপ্তাহে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি আদালতে যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএড কলেজের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নিতেন মানিক ভট্টাচার্য। কোভিডের সময় পড়ুয়াদের কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়া হত বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ৫০০-র ওপর বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। কোভিড-কালে সে সব কলেজ বন্ধ ছিল। ওই সময় প্রতি পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে দিতে বলতেন তিনি। পড়ুয়ারা টাকা দিতে না পারায় বেশিরভাগ কলেজ কর্তৃপক্ষই সেই টাকা দিয়ে দিয়েছিল বলে দাবি ইডি-র। টাকা না পেলে নাকি কলেজ কর্তৃপক্ষকে কার্যত হেনস্থা করতেন, হুমকিও দিতেন মানিক।

ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, এ সব খবর গিয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছেও। হোয়াটসঅ্যাপের রেকর্ড বলছে, পার্থর কাছে একটি মেসেজ গিয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল, ‘দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে।’ অর্থাৎ কেউ মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন পার্থ। বদলে কী করেন পার্থ? ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক, সেই মেসেজ আবার মানিককেই ফরওয়ার্ড করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

close