Kode Iklan atau kode lainnya

SSC: ‘ডিল’ পাকা হলেই চাকরির ফর্মে থাকত ‘চিহ্ন’, সাদা খাতা বের করে ভরাট করাত এজেন্টরা! নজিরবিহীন দুর্নীতি প্রকাশ্যে

SSC: ‘ডিল’ পাকা হলেই চাকরির ফর্মে থাকত ‘চিহ্ন’, সাদা খাতা বের করে ভরাট করাত এজেন্টরা! নজিরবিহীন দুর্নীতি প্রকাশ্যে

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এল ইডি-র হাতে। SSC-রবনিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যজুড়ে ১০০ এজেন্টের খোঁজ  মিলল। অভিযোগ, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনে ফেল করা পরীক্ষার্থীদের খাতা গোপনে বাইরে এনে পাল্টানো থেকে কারা চাকরি পাবেন, সেই তালিকা এসএসসি অফিসে পাঠানোই ছিল তাদের কাজ। 

প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে মিলেছে এই তথ্য। তাই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এখন পার্থবাবুর সেই ১০০ জন এজেন্টকে রাজ্যজুড়ে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের নাম এবং কার কী সুপারিশ ছিল, অর্পিতাদেবীর সূত্রে সেই তালিকা হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। খুব শীঘ্র তাদের কাছে নোটিস পাঠানো হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।

ইডির দাবি, পার্থবাবু ওই এজেন্টদের নিয়োগের সময় শিক্ষাদপ্তরের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। এসএসসি অফিসেই বের করা হতো তার প্রিন্টআউট। এই কার্ড দেখিয়ে শিক্ষাদপ্তরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢুকত এজেন্টরা। নিজেদের বাড়ি কিংবা অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খুলত এই এজেন্টরা। নির্দিষ্ট নম্বরও ছিল যোগাযোগের জন্য। সেগুলি নিজেদের লোক মারফৎ ছড়ানো হতো ব্লকে ব্লকে। ফোনে কেউ যোগাযোগ করলে চাকরিপ্রার্থীদের অফিসে ডাকত এজেন্টরা। সেখানে বসেই চূড়ান্ত হতো পুরো ‘ডিল’। পদ অনুসারে নির্দিষ্ট ছিল টাকার অঙ্ক। ‘ডিল’ পাকা হতেই ধাপে ধাপে শুরু হতো টাকা নেওয়া। ওই অফিসেই ‘ফিল আপ’ করানো হতো চাকরির ফর্ম। সেখানে থাকত নির্দিষ্ট ‘চিহ্ন’। ফলে অ্যাডমিট কার্ড চাকরিপ্রার্থীর ঠিকানায় পৌঁছত না। সেগুলি এসএসসি অফিস থেকে সংগ্রহ করত ওই এজেন্টরা।

তদন্তকারীদের ব্যাখ্যা, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাদপ্তরের অন্যদের মদত ছাড়া এটা সম্ভব নয়। চাকরির আশায় টাকা দেওয়া প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসতেন। তাঁদের বলা থাকত, যে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তার জন্য জায়গা খালি রাখবেন। কিছু না পারলে সাদা খাতা জমা দেওয়ারও নির্দেশ ছিল। খাতা জমা পড়ার পর সেগুলি বের করে আনা হতো। নিজেদের লোক দিয়ে উত্তরপত্রে ফাঁকা জায়গা ভরাট করাত জেলার বিভিন্ন এজেন্টরা। এরপর সেই খাতা চলে যেত আবার এসএসসি অফিসে। এভাবেই সাদা খাতা জমা দেওয়া প্রার্থীরা কিছু না লিখেও মেধাতালিকার প্রথম দিকে জায়গা করে নিতেন। 

close