Kode Iklan atau kode lainnya

নজিরবিহীন: WBCS-র পরীক্ষায় ৩৩১.৯৩ বেড়ে হয় ৬২১.২১, অভিযুক্ত এখন কলেজের সহকারী অধ্যাপক

সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতি
প্রতীকী চিত্র

নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই মুহূর্তে সরগরম বাংলা। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এরই মধ্যে নয়া অভিযোগ সামনে এল। WBCS পরীক্ষায় অনিয়মে অভিযুক্তই পরে কলেজে শিক্ষকা পদে যোগ দেওয়ার ঘটনা সামনে এল! 

SSC-র নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই নয়া বিতর্ক কলেজ সার্ভিসে নিয়োগে। অভিযোগ, ২০১৭ সালে ডব্লিউবিবিএস (WBCS) 'সি' গ্রুপে নম্বর কারচুপির দায়ে যে পরীক্ষার্থীর প্রার্থিপদ বাতিল করেছিল PSC, তিনিই ২০১৮ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় 'উতরে' চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। BCS-এ কারচুপির তদন্ত চেয়ে PSC এমনকী টালিগঞ্জ থানায় FIR-ও করেছিল।

২০১৯-এর ১৩ মার্চ কমিশনের তরফে থানার OC-কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছিল, "২০১৭ সালে WBCS-র পরীক্ষায় পাঁচ জন প্রার্থীর একাধিক বিষয়ে লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পান।" ওই চিঠির সঙ্গে থানায় জমা দেওয়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩৩১.৯৩। তা কারচুপির জেরে বেড়ে দাঁড়ায় '৬২১.২১'! এমনকী এই নম্বর বাড়ানোর অভিযোগে PSC'র এক আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়। এক সরকারি কর্তার বিস্ময়, "যেখানে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগে এক কর্মীর চাকরি পর্যন্ত চলে গেল, সেই কেলেঙ্কারিতে নাম থাকা সত্ত্বেও অন্য একটি সরকারি সংস্থায় চাকরি কী ভাবে হয়ে গেল সেই প্রার্থীর, তার কোনও ব্যাখ্যা মিলছে না।"

প্রার্থীকে ঘিরে এই বিতর্ক, তাঁর মা রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিক। বিতর্কিত প্রার্থী এখন রয়েছেন কলকাতার কাছেই একটি জেলার কলেজে। একটি সরকারি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগের পরেও তিনি কী ভাবে কলেজ সার্ভিসের পরীক্ষায় 'উতরোলেন', তা নিয়ে জল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের যুক্তি, একটি সরকারি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠলেও যদি আদালতের নিষেধ না-থাকে তা হলে তিনি অন্য সরকারি পরীক্ষায় বসতেই পারেন।

close