Kode Iklan atau kode lainnya

SSC-র বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার! পার্থর আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন ট্রাস্ট, বড় তথ্য হাতে এল ইডি-র, চলছে রহস্য ভেদ

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি অর্থ পাচার

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। এসএসসি দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ হয়েছে ভিন রাজ্যের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও! তদন্তে জেনেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হিসেবে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়স্বজন ও বান্ধবী অর্পিতার নাম রয়েছে বলে তথ্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এগুলির  যাচাই করার কাজ চলছে।

ইডি আধিকারিকরা ব্যাঙ্কের বিভিন্ন নথি ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন, বেশ কিছু বেসরকারি শিক্ষাৱ প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে অর্পিতার তৈরি করা কোম্পানি থেকে। এর মধ্যে যেমন এই রাজ্যের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তেমনই ভিন রাজ্যেও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সব টাকাই বিনিয়োগ করা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। 

ইডির কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, পার্থবাবু শিক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আসতেন তাঁর কাছে। গুটিকয়েকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে অর্পিতার পরিচয় করিয়ে দেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, পার্থ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন  কর্তাকে বলেন, অর্পিতার কোম্পানি এডুকেশন সেক্টরে লগ্নি করতে আগ্রহী। এখানকার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভিন রাজ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য পার্থবাবু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন পদাধিকারীকে অনুরোধ করেছিলেন বলে ইডি জেনেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর এই অনুরোধ অনেকেই ফেলতে পারেননি। 

এরপরই অর্পিতার কোম্পানি বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে শুরু করে ২০১৬ সাল থেকে। কোম্পানি ছাড়াও পার্থর আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন ট্রাস্ট খোলা হয়। এই ট্রাস্টের মাধ্যমেও টাকা ঢালা শুরু হয় ভিন রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়তে থাকে। অর্পিতার কোম্পানি বা ট্রাস্টে কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এল, তার শিকড় খুঁজতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন একাধিক ঘুরপথে এখানে টাকা এসেছে। এই টাকা যে  এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই তার নির্দিষ্ট নথি হাতে এসেছে ইডির। যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়েছে, তার নাম হাতে এসেছে তাদের।  সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির হিসেবপত্র যাচাই করার কাজ  চলছে। 

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা বুঝতে পারছেন, মোট অঙ্কের অল্প পরিমাণই তাঁরা উদ্ধার করতে পেরেছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এই টাকা বিনিয়োগ করা রয়েছে। অপা’র বিভিন্ন কোম্পানির লেনদেনের সূত্র ধরে এর রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

close