নিউজ ডেস্ক: আর রাত জেগে, কষ্ট করে পড়ে নেট-সেট পাস করতে হবে না! লাগবে না পিএইচডিও। শুধু থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা। তাহলেই আপনি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিতে পারবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই আইন আনছে ইউজিসি।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য এবার থেকে আর প্রথাগত শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। পিএইচডি, এমফিল লাগবে না। নেট বা সেটও পাশ করতে হবে না। প্রার্থীর কোনও প্রকাশনা না থাকলেও কিছু এসে যাবে না। শুধু যে বিষয়ে পড়াতে চান সেই বিষয়ে ১৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলেই চক, ডাস্টার হাতে দিব্যি ক্লাসে ঢুকে পড়া যাবে।
না, কোনও আষাঢ়ে গল্প নয়, কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীতে যেভাবে অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র, অনেকটা সেই মডেলেই এবার উচ্চশিক্ষায় 'প্রফেসর অফ প্র্যাকটিস' প্রকল্প চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) উদ্যোগী হয়েছে। গালভরা নাম দিলেও শিক্ষাবিদরা বলছেন, আদতে গোটাটাই ভাড়ায় অপেশাদার শিক্ষক এনে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ চালানোর পরিকল্পনা।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উচ্চশিক্ষায় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেই তাঁদের মত। শিক্ষাবিদদের একাংশের আশঙ্কা, প্রফেসর অফ প্র্যাকটিস প্রকল্প উচ্চশিক্ষার মান তলানিতে ঠেকিয়ে দিতে পারে। স্থায়ী পদে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিক্ষায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আরও বাড়তে পারে। এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ইউজিসি'র ৫৬০তম সভায় দেশজুড়ে প্রফেসর অফ প্র্যাকটিস প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী মাসেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। প্রকল্পের খসড়া ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চশিক্ষামন্ত্রকের সবুজ সংকেত পেয়েছে। সেই খসড়া অনুসারে ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজ্ঞান, কলা, আইটিআই-তে এইভাবে নিয়োগ করা যাবে। আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্দেশিকা বের হতে পারে। সর্বোচ্চ চার বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হবে। বেতন কত দেওয়া হবে তা এখনও জানায়নি ইউজিসি।