Kode Iklan atau kode lainnya

‘আপনাদের মারব’, গৃহশিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পোষ্টার পড়ল, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় প্রাইভেট টিউটররা

নিউজ ডেস্ক: গৃহশিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পোষ্টার পড়ল! এই পোষ্টার ঘিরে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে। হুগলির আরামবাগে বৃহস্পতিবার সকালে আন্দোলনকারী গৃহশিক্ষকদের (Private Tuition) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া পোস্টার দেখা যায়। এরপরই প্রাইভেট টিউটররা নিরাপত্তা চেয়ে গোঘাট থানার দ্বারস্থ হন। এ বিষয়ে আরামবাগের SDPO অভিষেক মণ্ডল জানান, থানায় অভিযোগ হলে, তদন্ত করে দেখা হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৃহশিক্ষকরা যাতে সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করার বিরুদ্ধে আন্দোলন না করেন, সেই জন্য সন্ত্রাসবাদীদের মতো দেওয়ালে পোস্টার লাগিয়ে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে এহেন প্রাণনাশের হুমকি সম্বলিত পোস্টার দেখে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা৷ জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এলাকাবাসী দেখেন বাড়ির দেওয়ালে এই পোস্টার লাগানো। 

পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘শ্রীধর চক্রবর্তী ও তাপস সরকারের উদ্দেশ্য জানানো হচ্ছে যে, আপনারা যে এত বড় হনু হয়েছেন, তা শুধু স্কুল শিক্ষকদের কাছে পড়ার জন্য। আজ তাহলে আমরা, ছাত্ররা কোন শিক্ষকদের কাছে পড়ব? আমরা বেশ কিছু বিষয়ের উপযুক্ত শিক্ষক পাচ্ছি না। যেমন অঙ্ক, ইংরাজি, ভূগোল প্রভৃতি। তাহলে আপনাদের কি অঙ্ক, ভূগোল, ইংরাজি পড়ানোর মুরোদ আছে? তাই বলছি আপনারা এইসব বন্ধ করুন এবং স্কুল শিক্ষকদের পড়াতে দিন। নতুবা আমরা, ছাত্ররা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমাদের বেশকিছু বন্ধুগণ আপনাদের টিউশনে পড়ছে। আমরা সব খবর রাখছি। আমরা পরিকল্পনা করে নিয়েছি, আপনাদের মারব৷ যদি আপনারা এই সব বন্ধ না করেন’।

গোঘাটের মাঝডিহার বাসিন্দা শ্রীধর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়িতে প্রাণনাশের হুমকি সহ একটি পোস্টার৷ আমার আর তাপস স্যারের নামে৷ আমরা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে আন্দোলন করছি, এতে অনেকের হয়তো অসুবিধা হচ্ছে, সেজন্য এটা করা হয়েছে৷ যাঁদের স্বার্থে আঘাত লাগছে, তাঁরা এই ধরনের কাজ করছেন৷’’ 

গোঘাটের কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা চন্দন আঁখরির দাবি, ‘‘সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এখন স্কুল শিক্ষকদের টিউশন পড়ানো বন্ধ৷ সকালবেলা উঠে দেখি আমাদের এখানে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়েছে৷ সবাই বলছে এটা ছাত্রছাত্রীদের কাজ৷ কিন্তু আমার মনে হয়, ছাত্রছাত্রীরা একাজ করেনি৷ আমরা তাদের চিনি৷ তারা আমাদের অত্যন্ত স্নেহের৷ হয়তো এর সঙ্গে যাদের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে, তারাই এটা করিয়েছে৷ আমরা নিরাপত্তা চেয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছি৷’’

ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনের হুগলি জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌমিত্র রায়ের দাবি, ‘‘আমাদের নামে কিছু পোস্টার পড়ে গতকাল রাতে৷ একেবারে সন্ত্রাসবাদীদের কায়দায়৷ এটা কোনও ছাত্রছাত্রীদের কাজ নয়৷ এটা করেছেন শিক্ষকরা৷ কারণ তাঁদের কালোবাজারি ব্যবসা যেন বন্ধ না হয়৷ তাঁরা কখনও বলছেন অনশন করবেন, আবার কখনও ছাত্রছাত্রীদের BDO, SDO অফিসে পাঠাচ্ছেন৷ এটা তাঁদেরই কাজ৷ তাই আজ আমরা থানার দ্বারস্থ হয়েছি অভিযোগ জানাতে এবং নিরাপত্তার দাবিতে৷ এরপরও যদি এই কাজ বন্ধ না হয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব৷’’

close