Kode Iklan atau kode lainnya

টাকা নিয়েই SSC অফিসে যেতেন অযোগ্যরা, নাম প্রকাশ না করেই দেওয়া হত নিয়োগপত্র! বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল

পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসএসসি

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বিশেষ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। এরই মধ্যে বিস্ফোরক তথ্য হাতে এল ইডির।  

পার্থ-অর্পিতার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট হাতে পেয়ে ফের একবার চোখ কপালে উঠেছে ইডি আধিকারিকদের। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সন্দেহজনক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। এমনকী পার্থ-অর্পিতা গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েকদিন আগে, জুলাই মাসেও অ্যাকাউন্টে তিনবার বড় অঙ্কের লেনদেন হয়েছিল।

বড় অঙ্কের এই লেনদেনগুলি হয়েছিল পার্থ-অর্পিতার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট, অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস, অনন্ত টেক্সফ্যাব, অর্পিতার নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, চারটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ও দু’টি ট্রাস্টির অ্যাকাউন্ট থেকে। ২০২০ সালে করোনার সময় ১৭, ১৯ ও ২০ মার্চ আরও তিনটি বড় অঙ্কের লেনদেনের তথ্য সামনে এসেছে। 

খবর মিলছে, মেধা তালিকায় নাম না ওঠা চাকরিপ্রার্থীরা নগদ টাকা নিয়ে সরাসরি এসএসসি অফিসে যেতেন। শুধু এসএসসি নয়, এর মধ্যে ছিলেন গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং টেটের চাকরিপ্রার্থীরাও। এসএসসি দপ্তরের বাইরে সেই টাকা সংগ্রহ করত পার্থ-ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি। সেখান থেকে নগদ টাকা সরাসরি চলে যেত হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে। এসএসসি দপ্তরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই তথ্য পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। 

আরও জানা যাচ্ছে, নগদ টাকা দিলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেখানেই নিয়োগপত্র দেওয়া হতো চাকরিপ্রার্থীদের। কোনও প্রমাণ না রাখার জন্য এই নিয়োগপত্র প্রাপকদের নাম ওয়েবসাইটে দেওয়া হতো না। এভাবে সংগ্রহ করা বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হতো বলে দাবি ইডির। অর্থাত্ দুর্নীতির জাল যে আরও বিস্তৃত, তা বলাই বাহুল্য।

close