নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে বিপুল সম্পত্তি বেড়েছে! পাঁচ বছরে এত সম্পত্তি কী করে বৃদ্ধি হল? ১৯ নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে জুড়ল কলকাতা হাই কোর্ট। ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে ইডির তদন্ত চেয়ে আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাই কোর্টে। কোর্ট সেই মামলায় ইডিকে পার্টি করার অনুমতি দিল।
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই আর্জি জানান আইনজীবী শামিম আহমেদ। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি মামলা করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
হাই কোর্টে তিনি ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর একটি তালিকা-সহ তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়ে বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। তিনি আর্জি জানান, পাঁচ বছরে এঁদের সম্পত্তি কী ভাবে এত বাড়ল, তা খতিয়ে দেখুক ইডি। এর প্রেক্ষিতে ওই মামলায় একটি পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্টের বেঞ্চ।
আদালতে যে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন শামিম, তাঁদের অধিকাংশই শাসক দল তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা। রয়েছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতারাও। ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, মদন মিত্র, শিউলি সাহার পাশাপাশি, অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমনকি, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের নামও রয়েছে। রয়েছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও।
তাঁর দেওয়া তালিকায় আর যে সব নেতা-মন্ত্রীদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, স্বর্ণকমল সাহা, অরূপ রায়, জাভেদ আহমেদ খান, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী দত্ত।
শামিম আদালতকে জানিয়েছেন, এঁদের অনেকেরই ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার এঁদের স্ত্রীরা তেমন ভাবে কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও, তাঁদের সম্পত্তি পাঁচ বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০ শতাংশের বেশি।
