নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী হারিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার', হুইলচেয়ারে হাসপাতালে ঢোকার সময় বললেন পার্থ। মন্ত্রীত্ব হারানোর পর এই প্রথম মুখ তিনি। আজ, শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পাথ-অর্পিতাকে! হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালে ঢোকানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক নামিয়ে পার্থ বললেন, 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার'!
শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, পরিষদীয় দফতর, এই তিন দফতর থেকেই অপসারণ করা হয়েছে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে পার্থবাবুর কাছে যে দফতরগুলি ছিল, তার দায়িত্বে আপাতত থাকছেন তিনিই৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে আসছে। হয়ত কিছুই করব না, কিন্তু যেহেতু যতক্ষণ নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন না করছি... তাই পার্থদাকে রেহাই দিয়েছি। এই দফতরগুলো আমার কাছে এসেছে।''
অন্যদিকে, ভরা রাস্তায় বসে পড়লেন, গাড়িতে বসে হাউহাউ কান্না অর্পিতার। শুক্রবার অর্পিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জোকা ইএসএআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ি থেকে নামতে চাননি। জোর করে হাসপাতালে ঢোকানো হয় তাঁকে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতাকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গাড়িতে থেকে নামতে চাননি তিনি। রাস্তায়বসে পড়েন অর্পিতা। তাঁকে হুইলচেয়ারে বসানো হয় জোর করে। তার পর হাসপাতালে ঢোকানো হয়। হয়। গাড়ি থেকে নামানোর সময় হাসপাতালের আপৎকালীন বিভাগের সামনেই রাস্তায় এই কাণ্ড ঘটে।
কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা অন্তর পার্থ এবং অর্পিতার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হবে। সেই নির্দেশ মতোই শুক্রবার দু’জনকে নিয়ে আসা হয়। এর আগেও ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল অর্পিতাকে। তখন তাঁকে এ ভাবে ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি। কিন্তু একেবারে ভিন্ন ছবি দেখা গেল শুক্রবার।