নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতিতে মুখ পুড়ছে শাসক দলের। একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সশরীরে কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তারই বিরুদ্ধে পাল্টা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ আনল তৃণমূল।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র তথা কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি৷ শুভেন্দু সরাসরি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করলেন তিনি
সুপ্রকাশের দাবি, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী ২০১১ সাল থেকে দুর্নীতির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িত। সরকারকে ব্যবহার করে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল থেকে কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সর্বত্রই টাকা লুঠ করেছেন৷ ২০১২ সালে কাঁথি পুরসভায় বসে ৩৯০০ জনকে টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকের নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। এসবের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন দফতরে নিজের বাড়ির কাজের লোক থেকে শুরু করে গাড়ির চালক, স্থানীয় একটি নাম জাদা ক্লাবের লোকজনদেরকে অনৈতিক উপায়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।’’
ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতেও শুভেন্দুর নাম জড়িয়েছেন সুপ্রকাশ৷ অখিল পুত্রের দাবি, ‘‘’কাঁথি কো-অপারেটিভ, কার্ড ব্যাঙ্ক এবং বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই তিন ব্যাঙ্কের নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে৷’’ কটাক্ষের সুরে যোগ করেছেন, ‘‘শুভেন্দুর মুখে দুর্নীতির অভিযোগ বেমানান। উনিই দুর্নীতির সবচেয়ে বড় মাথা।’’ স্বভাবতই অখিল পুত্রের দাবি ঘিরে কাঁথির রাজনৈতিক মহলে পড়ে গিয়েছে শোরগোল৷ যদিও এই বিষয়ে অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও সামনে আসেনি৷
পরেশ অধিকারীর মেয়ে তো উদাহরণ মাত্র৷ প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি যাবে আরও ১৫ হাজার জনের৷ সম্প্রতি কাঁথির জনসভা থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর আনার ওই অভিযোগের ইতিমধ্যেই জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার মুখ খুললেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি৷