বাবার সুপারিশে নয়, নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছি, বড় দাবি বরখাস্ত হওয়া তৃণমূল নেতার মেয়ের

নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। যদিও নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছি বলে দাবি করলেন  আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার মেয়ে শিবানী খাঁড়া।  আদালতের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতেই নিজের সমর্থনে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর দাবি, বাবার সুপারিশে নয়, নিজের যোগ্যাতাতেই চাকরি পেয়েছেন তিনি। 

শিবানীদেবী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে সালেরপুর সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন তিনি। তার পর থেকে ওই পদেই চাকরিরত রয়েছেন তিনি। এখনো তাঁর কাছে বরখাস্তের কোনও নথি পৌঁছয়নি। গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ। তাই স্কুলে যাচ্ছেন না তিনি।

নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানিয়ে শিবানীদেবী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে আমার ভালো নম্বর ছিল। তার পর বাংলায় বিএ ও এমএ করেছি। সরিষা রামকৃষ্ণমিশন থেকে ডিএলএড করেছি। ২০১৪ সালে টেটে সফলভাবে উত্তীর্ণ হই। নিয়োগপত্র পাই ২০১৭ সালে। নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছি। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আদালত। বুধবার আদালতে হলফনামা দিয়ে সংসদের তরফে জানানো হয়েছে সংখ্যাটা ২৬৯ নয়, ২৭৩।

চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে হুগলি জেলাতেই রয়েছে ৬৮ জন। এই ৬৮ জনের মধ্যে রয়েছেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার দুই মেয়ে সীমা খাঁড়া (প্রামানিক) ও শিবাণী খাঁড়া। গুণধরের সুপারিশের এই ২ জনের চাকরি হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।