Kode Iklan atau kode lainnya

আগে চাকরিতে ঘুষের অঙ্ক ছিল ৪-৫ লক্ষ টাকা, এখন ১১ লক্ষ, ২০১২ সালের পর যত চাকরি হয়েছে, সবই টাকা দিয়ে!

প্রতীকী চিত্র

নিউজ ডেস্ক: এতদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই সঙ্গে উঠে আসছে চন্দন মন্ডলের নাম। যা নিয়ে অস্বস্থি বাড়ছে রাজ্যের। 

প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস তাঁর একটি ফেসবুক ভিডিও বার্তায় রঞ্জনের নামটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। সেই কাল্পনিক চরিত্র রঞ্জনের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেই রেশ ধরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর। তার সম্পর্কে প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বরের অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে যোগদান করে চন্দন।

প্রাক্তন বিধায়কের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ চন্দনের কাছে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আগে স্কুলের চাকরিতে ঘুষের অঙ্ক ছিল ৪-৫ লক্ষ টাকা। এখন ১১ লক্ষ টাকা করে দিতে হয়। যে ঘুষ দেয় সেও কিছু বলে না। যে নেয় সেও কিছু বলে না। দুলাল বরের বক্তব্য এবিষয়ে আরও ভালো করে জানেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস।

দুলাল বরের দাবি, ‘‘ইদানিং টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি। তাঁরা চাকরি চাইতে গেলে তাঁদের বলা হয়েছে, ‘পরের বার করিয়ে দেব।’ তার পরেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের টাকাও ফেরত দেননি রঞ্জন। তৃণমূল জমানায় ২০১২ সালের পর বাগদায় যত চাকরি হয়েছে, সবই হয়েছে টাকা দিয়ে।”

এর আগে সত্য উদঘাটন করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যেহেতু উপেন বিশ্বাস প্রাক্তন সিবিআই কর্তা, তাই তাঁর এই বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে আদালত৷ রঞ্জনের আসল নাম চন্দন মন্ডল, যিনি পেশায় স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষক৷ প্রয়োজনে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই ব্যক্তি সিবিআইকে সাহায্য করবে বলে মত আদালতের।

close