Kode Iklan atau kode lainnya

এসএসসি-টেট দুর্নীতিতে CBI তদন্তের অগ্রগতি সত্যিই চোখে পড়ছে না, বড় মন্তব্য আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের

আইনজীবী ফিরদৌস শামিম

নিউজ ডেস্ক: এর আগে সিবিআই তদন্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার মুখ খুললেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও। CBI তদন্তের অগ্রগতি সত্যিই চোখে দেখা যাচ্ছে না! এমনই মন্তব্য করলেন তিনি।

স্কুল সার্ভিস কমিসম এবং প্রাথমিকের টেট  দুর্নীতির একের পর এক মামলায় আইনজীবী ছিলেন তিনিই। তাঁর সওয়ালেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এহেন ফিরদৌস সামিমের দাবি, সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি দৃশ্যমান হচ্ছে না।

সংবাদমাধ্যমকে ফিরদৌস শামিম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তদন্ত চলছে। কিন্তু তদন্তে কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সিবিআই এক একজন নেতা মন্ত্রীকে ডাকছে, জেরা করছে আবার ছেড়ে দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থাকলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি তারা। যার ফলে মানুষের চোখে তদন্তের কোনও অগ্রগতি ধরা পড়ছে না। আদালতে সিবিআই কী রিপোর্ট দিল মানুষ তা বোঝে না’।

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এই মামলায় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা যুক্ত তাই রাজ্য সরকারি কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে লাভ নেই। তদন্ত করাতে হবে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে। কিন্তু সেই সংস্থা যদি ব্যর্থ হয় তাতে যেন দুর্নীতির জাল উন্মোচন বন্ধ না থাকে।’

গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোাপধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিবিআই তদন্তে আমি হতাশ। নভেম্বর মাসে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেল না। সিবিআইকে নোবেল দেওয়া উচিত। এর থেকে সিট ভালো ছিল। তদন্তভার হস্তান্তর করা যায় কি না সেব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি।’

বিচারপতি সিবিআইয়ের কাজে ‘অখুশি’ মনোভাব প্রকাশ করার পরেই দিল্লি থেকে যুগ্ম ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার আনার সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই। বুধবার সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, শুধু মাত্র স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলার তদন্ত করার জন্যই দিল্লি থেকে এক জন যুগ্ম ডিরেক্টরকে নিয়ে আসা হচ্ছে। শীঘ্রই রাজ্যে আসছেন ওই অফিসার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দুর্নীতির কারিগরদের শীঘ্রই খুঁজে বার করা হবে।

close