Kode Iklan atau kode lainnya

বাড়ি থেকে তুলে এনে দীর্ঘ জেরা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে, বাজেয়াপ্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, খুলছে নিয়োগ জট!

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ জেরার মুখে পড়লেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদে সভাপতিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর থেকেই জোর কদমে কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ তদন্তকারী অফিসার এবং একজন ডিএসপির নেতৃত্বে ছ’জনের দল পর্ষদের সদর দপ্তর নিবেদিতা ভবনে যায়। তবে, পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাগাল সহজে পায়নি সিবিআই। অনেক কাণ্ডের পর অবশ্য সন্ধ্যার আগে তাঁকে বাড়ি থেকে কার্যত তুলে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

কম্পিউটার অপারেটর রাজেশ লায়েক এবং ডেপুটি সেক্রেটারি (অ্যাডমিন) পারমিতা রায়ের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। কথা বলা হয় প্রীতম দাস নামে আরেক কম্পিউটার অপারেটরের সঙ্গেও। সার্ভার রুমে তল্লাশি এবং অন্যান্য নথিপত্র খতিয়ে দেখে গোটা টিম।

বার বার আসতে বলা হলেও না আসায় সিবিআইয়ের একটি দল বাড়ি গিয়ে কল্যাণময়বাবুকে পর্ষদের অফিসে নিয়ে আসে। এবার বাকি তিনজনের সঙ্গে বসিয়ে একদফা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে উঠে আসে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম। তখন বাকিদের সামনে রেখে তাঁর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন আধিকারিকরা। 

সিবিআইয়ের অন্য একটি দল শান্তিপ্রসাদবাবুর বাড়ি যায়। সেখানে সস্ত্রীক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্ধ্যার দিকে কল্যাণময়বাবুকে একা দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। রাতের দিকে নীল রঙের অন্য একটি গাড়িতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পাশের গেট দিয়ে বেরিয়ে যান পর্ষদ সভাপতি। তাঁর গাড়িটি বেরয় বিদ্যুৎ ভবনের গেট দিয়ে।

সিবিআই জেনেছে, ২০২০ সালের ১৭, ১৯ এবং ২০ মার্চ যে নিয়োগপত্রগুলি ছাড়া হয়েছিল, তা কল্যাণময়বাবুই তুলে দেন শান্তিপ্রসাদ সিনহার হাতে। তিনি নাকি পর্ষদ সভাপতিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, এসএসসির নতুন কার্যালয় থেকে সেগুলি ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তদন্তকারী অফিসারদের অবশ্য দাবি, নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশগুলি উপদেষ্টাই পাঠান কল্যাণময়বাবুর কাছে। পর্ষদ সভাপতির নির্দেশমতো সেগুলি স্ক্যান করেন দপ্তরের এক কর্মী। সেই কপি হাতে আসার পর ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরির জন্য নামের তালিকা রাজেশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিনি সেগুলি পাঠিয়ে দেন পর্ষদ সভাপতির কাছে। পরে এই নিয়োগপত্র যায় শান্তিপ্রসাদবাবুর কাছে। তিনিই আবার সেগুলি কল্যাণময়বাবুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। 

গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করতে এদিন সকলকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। কল্যাণময় এবং শান্তিপ্রসাদবাবু দু’জনেই অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দু’জনের যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, সম্পত্তির নথি জমা নিয়েছেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বেনামী সম্পত্তি থাকার বিষয়টিও। প্রয়োজনে তাঁদের আবার জেরা করা হবে। 

close