Kode Iklan atau kode lainnya

নজিরবিহীন: স্ত্রী, শালিকা, শ্যালক, মাসতুতো ভাই, বোন, জামাই সহ একই পরিরের ১৩ জনের চাকরি!

প্রতীকী চিত্র

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হল গণশক্তি পত্রিকায়। সেখানে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় তথ্য সামনে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনের কিছু অংশ তুলে ধরা হল-

শুভেন্দু অধিকারী তখন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মমতা ব্যানার্জির সরকারের মন্ত্রী। তখন নন্দীগ্রাম-২ নং পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ বেআইনিভাবে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তখন পার্থ চ্যাটার্জি। পার্থের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির পরিবারের ১৩ জন একইভাবে চাকরি পেয়েছেন সেই সময়কালে। সেই পরিবারের বাড়ি নন্দীগ্রাম সংলগ্ন চণ্ডীপুরে।

এই নিয়ে এখন তৃণমূল চুপ। বিজেপিও চুপ। শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের মুখ বন্ধ। নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুরসহ পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের কারও মুখে রা নেই। হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সংখ্যাটা ৩০। তবে টেট পাশ চাকরিপ্রার্থীদের কথায় এ জেলায় সংখ্যাটা অনেক বেশি। দুর্নীতি অনেক গভীরে রয়েছে, সঠিক তদন্ত করলেই অনেক শিক্ষকেরই চাকরি বাতিল হবে।

জেলার বাতিল শিক্ষকদের সেই তালিকায় রয়েছেন নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মধ্যক্ষ সঞ্চিতা প্রধানের নাম। তবে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে চাননি। তবে চুরি ধরা পড়েছে। বাতিল হয়েছে তাঁর চাকরি। জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের এই সংক্রান্ত ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ব্লকের ১ম খণ্ড জালপাই গ্রাম থেকে একই পরিবারের ১৩ জন চাকরি পেয়েছে। কারা তারা? 

তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির সিকিউরিটি ছিলেন ওই গ্রামের বাসিন্দা কলকাতা পুলিশে কর্মরত বিশ্বস্তর মণ্ডল। তাঁর ভাই এবং আত্মীয় আরও ১০ জন প্রাথমিক শিক্ষক, হাই স্কুলের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন। তেমনই বলছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। বিশ্বম্ভর মণ্ডলের ভাই বংশীলাল মণ্ডল প্রাথমিক শিক্ষক, পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ। বিশ্বম্ভর মণ্ডলের স্ত্রী, শালিকা, শ্যালক, মাসতুতো ভাই, বোন, জামাই এমন অনেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা হাইস্কুলের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছেন।

এ বিষয়ে চণ্ডীপুর ব্লকের তৃণমূল নেতাও ২০১১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত দু'বারের তৃণমূল বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য শুক্রবার দাবি করেন, “এবিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ চাকরি করে বলে শুনেছি। কিন্তু কীভাবে চাকরি পেল সেটা আমার অজানা।"

এই সমগ্র বিষয়ে সিপিআই (এম) জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, “একই পরিবারের এতজন চাকরিজীবি জেলায় নজিরবিহীন। সিপিআই(এম) বরাবরই অভিযোগ করেছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে তৃণমূল। যেখানে মেধা এবং যোগ্যতা প্রাধান্য পায়নি। আবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সংখ্যাটা অনেক বেশি। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।"

close