Kode Iklan atau kode lainnya

অসাধারণ: অনাথ আশ্রম থেকে মাধ্যমিকে ৬৩২ নম্বর পাওয়া মেহেবুন্নেশার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া

নিউজ ডেস্ক: অনাথ আশ্রম থেকে মাধ্যমিক, ৬৩২ নম্বর পাওয়া মেহেবুন্নেশার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। অনেক ছোটবেলায় বাবার মৃত্যু হয়েছে। তারপর মায়ের হাত ধরে বহরমপুরের হরিহরপাড়া অনাথ আশ্রমে।  বাবা ছোটবেলায় মারা গিয়েছেন। তারপর আর্থিক অনটনের জেরে মায়ের হাত ধরে অনাথ আশ্রমেই ঠাঁই হয়েছে মেহেবুন্নেশার। কিন্তু অনাথ আশ্রমে থাকলেও পড়াশোনার প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক ছিল তার। ছোট্ট মেয়েটির পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে তাকে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করে দেয় বহরমপুরের হরিহরপাড়া অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষ। 

আশ্রম কর্তৃপক্ষের সেই চেষ্টা বিফলে যায়নি। অনাথ আশ্রম থেকে মাধ্যমিকে ৬৩২ নম্বর পেয়ে পাশ করল মেহেবুন্নিসা। অনাথ আশ্রমের কিশোরীর এই সাফল্যে অভিভূত সকলেই। হরিহরপাড়া ট্যাংড়ামারি অনাথ আশ্রমের ছাত্রীর সাফল্যে উৎসবের মেজাজ আশ্রম চত্বরে। মেহেবুন্নিসার লক্ষ্য, বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। আর্থিক অনটনের জেরে দুঃস্থ মানুষদের যে কী অবস্থা হয়, চিকিৎসার অভাবে কী ভাবে মৃত্যু হয়, তা ছোট থেকে ভালোই টের পেয়েছে। তাই পড়াশোনা করে ভাল চিকিৎসক হয়ে দুঃস্থ-অনাথদের সেবায় নিজেকে করতে চাই সে। 

ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী মেহেবুন্নেসা। তার মেধা দেখে অভিভূত আশ্রম কর্তৃপক্ষ মেহেবুন্নেসাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করে দেয়। সেখান থেকেই এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৩২। বিশেষ কোনও টিউশন ছাড়াই অনাথ আশ্রমে বড় হয়ে ওঠা মেহেবুন্নেশার এই সাফল্যে অভিভূত তার মা থেকে শুরু করে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। 

মেহেবুন্নেশার মা জাহেদা খাতুন বলেন, "অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে বড় হয়েছে মেয়ে। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবি ও জেদী। ওর সাফল্যে আমি গর্বিত। বড় হয়ে আমার মতো অসহায় মেয়েদের পাশে দাঁড়ালে আরও খুশি হব।"

মায়ের স্বপ্ন পূরণই একমাত্র লক্ষ্য মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্রী মেহেবুন্নেশার। তার কথায়, "মায়ের ইচ্ছা, আমি ডাক্তারি পড়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হই। আমারও লক্ষ্য সেটাই। অনাথদের পাশে থাকতে চাই আজীবন।" আল আমিন মিশন থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় মেহেবুন্নেশা। কিশোরী মেয়ের পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে তার লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন অনাথ আশ্রমের কর্ণধার আইজুদ্দিন মণ্ডল। 

close