Kode Iklan atau kode lainnya

বড় খবর: প্রাথমিকের TET দুর্নীতি ও নিয়োগ মামলায় চন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে FIR CBI-এর

নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কাজে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। প্রাথমিকের TET দুর্নীতি মামলায় FIR CBI-এর!  সিবিআই FIR দায়ের করেছে চন্দন মণ্ডলের নাম। টেট দুর্নীতিতে গতকাল CBI অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বাগদার চন্দন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় আদালত। আর আজকেই চন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করল সিবিআই। 

প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে লক্ষ লক্ষ  টাকার খেলা হয়েছে। বাগদার চন্দন মন্ডলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা উপেন বিশ্বাসের ফেসবুকে তোলা অভিযোগের ওপর সিবিআই তদন্ত করবে। তদন্তের প্রয়োজনে সিবিআই ২ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলেও জানায়।

তবে সেই বহুল চর্চিত চন্দন মন্ডল পলাতক বলেই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা চন্দন মন্ডলের বাড়িতে গেলেও তাঁর খোঁজ পায়নি। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও জানেন না চন্দন মন্ডল কোথায় আছে। 

এই চন্দন মন্ডলের নাম উঠে আসে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের ফেসবুক পোস্টে। উপেন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, এই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দিয়েছেন প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে। প্রাইমারির ক্ষেত্রে রফা হয় ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকায়। আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে সেটা ১৫ লাখ থেকে ১৮ লাখ, কখনও ২০ লাখ টাকায়। আর নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে সেই টাকার অঙ্কটাই ২৫ লাখ। 

ফেসবুক পোস্টে উপেন বিশ্বাস আরও বলেন, রঞ্জন এতটাই সত্য যে, যে টাকা দিতে পেরেছে, তাকে তিনি চাকরি দিয়েছেন। আর চাকরি দিতে না পারলে, টাকা ফেরত দিয়েছেন। একটাই নির্দেশ ছিল যে, সাদা খাতায় শুধু রোল নম্বর লিখে জমা দিতে হবে। কিছু লিখলে আর চাকরি পাওয়া যাবে না। এই বিষয়টিই সামনে তুলে আনেন মামলাকারীরা। 

চন্দন মন্ডল পেশায় প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক। বিরোধীরা এই চন্দন মন্ডলকে নিয়ে সরব হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, চন্দন মন্ডলকে জেরা করলে একাধিক হেভিওয়েটের নাম বেরিয়ে আসবে। তবে আপাতত চন্দন মন্ডল কোথায় বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন? তাই নিয়ে চলছে জোরদার চর্চা। 

গতকাল আদালত রায়ে বলে, অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্ত চন্দন মণ্ডল অর্থাৎ রঞ্জনকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের যে অভিযোগ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখবে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। আদালতের নির্দেশ, মামলাকারি আইনজীবী যাবতীয় তথ্য প্রমাণ তুলে দেবেন সিবিআইয়ের  হাতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ই জুন৷ তার মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ 

close