নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নজিরবিহীন দুর্নীতি সামনে এসেছে। মেয়াদ শেষের পরেও ৩৮১ জনকে সুপারিশপত্র! শান্তিপ্রসাদ সিন্হা ভুয়ো সুপারিশপত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিতেন। সেই সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র তৈরি করাতেন কল্যাণময়। রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ। যে সময়ে এই নিয়োগ কেলেঙ্কারি ঘটেছিল তখন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তিনি তাঁর দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ওটা নিয়ে আমি কোনও কথা বলছি না। কারণ আমি তো ওই দফতরের মন্ত্রী নই। যে দফতরের মন্ত্রী সে উত্তর দেবে”। পার্থবাবুকে বলা হয়, যেহেতু ওই সময়ে আপনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তাই আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছি। জবাবে বর্তমান শিল্প মন্ত্রী বলেন, “তাতে কী হয়েছে? পাঠান মোগলের টাইমেও তো অনেক ঘটনা ঘটেছে”।
একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমি বাগ কমিটির রিপোর্ট দেখেছি। তবে সম্পূর্ণটা দেখিনি, যখন দেখব তখন বলব। তা ছাড়া আমি এখন শিক্ষা দফতরে নেই, শিক্ষা দফতর কী ভাবে জিনিসটাকে দেখছে, না জেনে দুম করে বলাটা অন্যায় হবে”।
বাগ কমিটির রিপোর্টে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মোট ১১ জন এসএসসি কর্তাকে। তাঁরা কারা? এসএসসির প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব অশোক কুমার সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচর্য। এছাড়াও বাগ কমিটির তালিকায় অভিযুক্ত করা হয়েছে কমিশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র, শুভজিত চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন, মহুয়া বিশ্বাস ও চৈতালি ভট্টাচার্য।